‘ভারতীয়দের রসবোধের অভাব আছে’

ভারতের সাবেক উইকেটরক্ষক ফারুক ইঞ্জিনিয়ারসংগৃহীত ছবি

সুনীল গাভাস্কার-আনুশকা শর্মার বাগ্‌যুদ্ধ থেমে যাওয়ার কথা। দুই পক্ষ থেকে আর নতুন কোনো কথা আসেনি। কিন্তু ফারুক ইঞ্জিনিয়ার এ প্রসঙ্গে যা বলেছেন তাতে ভারতীয়দের গা জ্বলতে পারে। নিজ দেশের মানুষের রসবোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের সাবেক এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

ঘটনার শুরু সানরাইজার্স হায়দরাবাদ-রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ম্যাচে। সানরাইজার্স অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের দুটি ক্যাচ ফেলেন কোহলি। ব্যাটিংয়েও ভালো করতে পারেননি। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এ ম্যাচের ধারাভাষ্যে গাভাস্কার বলেছেন, ‘বিরাট লকডাউনে শুধু আনুশকার বলে অনুশীলন করেছে।’ অর্থাৎ,আনুশকার সঙ্গে ক্রিকেট খেললে পারফরম্যান্স এমন হওয়ারই কথা। মন্তব্যটিতে অনেকেই নারী বিদ্বেষ মনোভাব খুঁজে পেয়েছেন। কোহলির ব্যর্থতার জন্য এখানে প্রচ্ছন্নভাবে আনুশকাকে দোষারোপও করা হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।

গাভাস্কারের এক মন্তব্যেই ফুঁসে উঠেছে নেটিজেনরা।
ফাইল ছবি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গাভাস্কারকে নিয়ে ঝড় ওঠায় জবাব দেন কোহলির স্ত্রী ও বলিউড অভিনেত্রী আনুশকা। ভারতীয় কিংবদন্তির মন্তব্য কুরুচিপূর্ণ, ইনস্টাগ্রামে এমন মন্তব্য করেন আনুশকা। তবে গাভাস্কার সত্যিই এমন মন্তব্য করেছেন কি না কিংবা তাঁর কথা ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলেও দাবি ওঠে। গাভাস্কারও আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন, তাঁর মন্তব্যে কোনোরকম বিদ্বেষ ছিল না এবং আনুশকাকে তিনি দোষারোপ করেননি।

এমন পরিস্থিতিতে দুই পক্ষে ভাগ হয়ে পড়েন ভারতীয়রা। কেউ গাভাস্কারের পক্ষে, কেউ আনুশকার হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন অনলাইনে। বিষয়টিকে অতি গুরুত্ব দিয়ে ভারতীয়রা অযথাই মাথা ঘামাচ্ছে বলে মনে করেন ইঞ্জিনিয়ার। ষাট ও সত্তর দশকে ভারতের হয়ে ৪৬ টেস্ট খেলা সাবেক এ ক্রিকেটার সংবাদমাধ্যম পাকিস্তান অবজারভারকে বলেছেন এ নিয়ে, ‘আমাদের, ভারতীয়দের রসবোধের অভাব আছে। আনুশকা ও বিরাটকে নিয়ে সুনীল এ কথা বললে তা অবশ্যই রসিকতার সুরে বলেছে, বাজে কোনো ইঙ্গিত করেনি। সুনীল গাভাস্কারকে যত দূর জানি সে মজা করেই এ কথা বলেছে। এমনকি আমার ক্ষেত্রেও লোকে এত গুরুত্বসহকারে নিয়েছিল যে কারণে আনুশকাকেও বিবৃতি দিতে হয়েছিল।’

কোহলি–আনুশকা বিতর্কের কেন্দ্রে আবারও
ছবি: টুইটার

ইঞ্জিনিয়ার নিজের যে উদাহরণ দিয়েছেন সেটি গত বিশ্বকাপের কথা। সে সময় তিনি নাকি বলেছিলেন, ইংল্যান্ডে আনুশকাকে চা এনে দেওয়াই কাজ ভারতের নির্বাচকদের। বিশ্বকাপের সময়টায় ভারতের ম্যাচগুলো আনুশকা ভিআইপি গ্যালারি থেকে দেখতেন। সে সময় ফারুক বলেছিলেন, ‘বিশ্বকাপে এক নির্বাচককে চিনতে পারিনি, তাই জিজ্ঞেস করেছিলাম তুমি কে? কারণ তার গায়ে ভারতের ব্লেজার ছিল। সে বলল সে নাকি একজন নির্বাচক। কিন্তু ওরা শুধু আনুশকা শর্মাকে চা এনে দিতেই ব্যস্ত ছিল।’

ইঞ্জিনিয়ার এবার যা বলছেন তাতেও চাইলে খুঁত খুঁজে নিতে পারেন অনেকেই, ‘আনুশকা ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলির সুন্দরী স্ত্রী। সুনীল কিংবা আমি কেন তার সমালোচনা করব।’