ভারতে আবার ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ

এবার ভারতের রাজ্য ক্রিকেটে আবার হানা দিয়েছে ম্যাচ পাতানোর ব্যাধি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, টি-টোয়েন্টি লিগের পর এবার ঘরোয়া ক্রিকেটের গোড়ায় হানা দিয়েছে ক্রিকেটের এই ক্যানসার। ভারতের অন্ধ্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এসিএ) আয়োজিত এক টি-টোয়েন্টি লিগে সম্প্রতি ব্যাপক ম্যাচ পাতানো ও জুয়ার অভিযোগ এসেছে।

গত ২৩ অক্টোবর ছয় দল নিয়ে শুরু হয় এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। গত ৮ নভেম্বর শেষ হয় টুর্নামেন্টটি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, এসিএ’র দুর্নীতি দমন বিভাগ লিগে ম্যাচ পাতানোর গন্ধ পাচ্ছে। এর মধ্যে তদন্তও শুরু করেছে।

মোহাম্মদ আমিরের ঘটনাতেই স্পট ফিক্সিংয়ের প্রকোপটা প্রথম ভালোভাবে টের পেয়েছিল আইসিসি।
ফাইল ছবি

জুয়া ও পাতানো ম্যাচে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে টি-টোয়েন্টি লিগে খেলা বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে এর মধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, তদন্তের প্রতিবেদন দ্রুতই অন্ধ্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কাছে পাঠানো হবে। অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিভা রেড্ডি ও সাধারণ সম্পাদক ভি দুর্গা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ‘যদি লিগে খেলা ক্রিকেটারদের অপরাধ প্রমাণ হয়, তাহলে সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এসিএ দোষীদের নিষিদ্ধ করার বিষয়টিও মাথায় রাখবে।’

এসিএ টুর্নামেন্টটি পরিচালনার দায়িত্ব টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি মিডিয়াকে (টিসিএম) দেয়। সাবেক প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার চার্লটন সালদানহা প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক।

করোনাতেও থেমে নেই বাজিকররা।
প্রতীকী ছবি

টুর্নামেন্টটি রাজ্য ক্রিকেটারদের খেলার রাখার জন্য আয়োজন করা হয়। এখান থেকে এসিএ কোনো লাভের প্রত্যাশা করেনি। এক এসিএ কর্মকর্তা হতাশা থেকে বলছিলেন, ‘দুঃখজনক বলতেই হয়। যেভাবে সবকিছু ঘটল, সেটা সত্যিই দুঃখজনক। টুর্নামেন্টের আর্থিক সুবিধা ভালোই ছিল। কিন্তু তবু জুয়া এতটা ছড়িয়ে গেল। আসলে জুয়া এখন সব জায়গাতেই। এটা নিয়ন্ত্রণে নেই। কিন্তু চিন্তার বিষয় হচ্ছে আমাদের ক্রিকেটাররা এখন এসবে জড়িয়ে যাচ্ছে। আমরা তদন্ত প্রতিবেদনটি গুরুত্ব সহকারে দেখব।’

টুর্নামেন্টের নিয়মনীতিও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান এই এসিএ কর্মকর্তা। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যেন না ঘটে সেই ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি, ‘এটা শুধু ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণের ব্যাপার না, সব নিয়ম মেনে কি টুর্নামেন্ট মাঠে গড়িয়েছে? এমন ঘটনা এড়ানোর সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল? সব বিষয়ই দেখতে হবে।’

এই টুর্নামেন্টটি হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালে। এসিএ ও টিসিএম লিগ আয়োজনের জন্য চুক্তি করে। কিন্তু করোনাভাইরাস এসে সব পণ্ড করে দেয়। পরবর্তীতে ছোট পরিসরে টুর্নামেন্টটি মাঠে নামায় এসিএ ও টিসিএম।