মরু-পরীক্ষার জন্য শাণ দিচ্ছেন মোস্তাফিজ

কোর্টনি ওয়ালশের সঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমান। ছবি: প্রথম আলো
কোর্টনি ওয়ালশের সঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমান। ছবি: প্রথম আলো
>সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপ খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন মোস্তাফিজুর রহমান। এ জন্য মিরপুরে চলমান প্রস্তুতি ক্যাম্পে নিজেকে শাণিয়ে নিচ্ছেন বাংলাদেশের এই পেসার

মোস্তাফিজুর রহমানকে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে, আজকাল কতটা ছন্দে ফিরলেন? আইপিএল খেলতে গিয়ে চোটে পড়েছিলেন। খেলা হয়নি দেরাদুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টেস্ট সিরিজেও।

তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ফেরেন দারুণভাবে। তিন ম্যাচের সিরিজে ৫ উইকেট নিয়ে সিরিজের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি (সর্বোচ্চ মাশরাফি বিন মুর্তজার ৭ উইকেট) তিনি। টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাঁর নামটাই সবার ওপরে। তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তাঁর ৮ উইকেট। ব্যস, এতেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে কৌতূহল, ‘মোস্তাফিজ কি ছন্দে ফিরেছেন?’

উত্তরটা মোস্তাফিজ কাল নিজেই দিয়েছেন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে নিজের শতভাগ দিয়ে বোলিং করতে পারিনি। আমি বলব, সামর্থ্যের ৬০ ভাগ দিতে পেরেছি। পেস বোলারদের ছন্দের বিষয় আছে। ছন্দ ভালো থাকলে মারও খেতে পারে, আবার ভালোও করতে পারে। আমি এখন সুস্থ আছি, তবে আমার ছন্দটা আরও ভালো হওয়া সম্ভব। আমার মনে হয়, আমার এখনো সব জায়গায় উন্নতি করার সুযোগ আছে।’

এশিয়া কাপে পূর্ণ ছন্দের মোস্তাফিজকে দেখার অপেক্ষায় বাংলাদেশ। টুর্নামেন্ট শুরুর আগের এই সময়টাতে নিশ্চয়ই সেখানে পৌঁছাতে চাইবেন এই বাঁহাতি পেসার। এশিয়া কাপের জন্য প্রস্তুতি ক্যাম্পে বাংলাদেশ দলের ফিটনেস আর ফিল্ডিং অনুশীলনের প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে কাল। সেখানে ফিল্ডিংয়েই বেশি সময় দিয়েছেন মোস্তাফিজ। রোববার থেকে শুরু হওয়ার কথা স্কিল ট্রেনিং। মরুর দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে কীভাবে খেলতে হবে, তার জন্য বিশেষ পাঠের ব্যবস্থা হয়তো রেখেছেন স্টিভ রোডস।

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলার কল্যাণে মেহেদী হাসান মিরাজের মতো মোস্তাফিজুর রহমানের কাছেও কন্ডিশনটা অচেনা নয়। আবির্ভাবেই ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দেওয়া এই পেসার বললেন, ‘সেখানকার গরম প্রায় আমাদের দেশেরই মতো। আহামরি পরিবর্তন নেই। আমি ২০১৪ সালে সেখানে খেলেছিলাম অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে। তখন যে মাঠে খেলেছি, সেই মাঠেই এবার খেলা। সবকিছু প্রায় আমাদের মতোই হবে। এখন এসিসি কী উইকেট দেয় সেটা দেখার বিষয়।’