মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ‘খুনে’ ফিলিপস

ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি ফিলিপসের।ছবি: এএফপি

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নতুন ইতিহাস গড়লেন গ্লেন ফিলিপস। নিউজিল্যান্ডের এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ৪৬ বলে সেঞ্চুরি করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ১০ম দ্রুততম শতকের নজির গড়েছেন। তাঁর ৫১ বলে ১০৮ রানে ইনিংসের ওপর দাঁড়িয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৩৯ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন কিউইরা। তবে সেই চ্যালেঞ্জ নিতে পারেননি ক্যারিবীয়রা। ম্যাচটা হেরেছেন ৭২ রানে। বিশাল লক্ষ্যমাত্রার সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস শেষ হয়েছে ৯ উইকেটে ১৬৬ রান করে।

নিজের ১৩তম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এসে আলোড়ন তুললেন ফিলিপস। ২৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্ট লন্ডনে। ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অভিষিক্ত ফিলিপস এর আগে ব্যাট হাতে একটি ফিফটিই করেছিলেন।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ফিলিপসের সেঞ্চুরিটি ১০ম দ্রুততম হলেও নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটারদের মধ্যে তিনিই সবার ওপরে। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই ৪৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন কলিন মুনরো। এত দিন সেটিই ছিল কিউই ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুততম। এক বলে ফিলিপস মুনরোকে পেছনে ফেললেন আজ। সেঞ্চুরি করতে ফিলিপসের ব্যাট থেকে এসেছে ৮টি ছক্কা আর ১০টি বাউন্ডারি। ৬৫ রান এসেছে ডেভন কনওয়ের ব্যাট থেকে।

ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট সংস্করণে দ্রুততম সেঞ্চুরিটি হয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। সেটি ২০১৭ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে। দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার সেদিন ৩৫ বলে করেছিলেন সেঞ্চুরি। পরের নামটি ভারতের রোহিত শর্মার। ২০১৭ সালেই ইন্দোরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৫ বলেই করেছিলেন সেঞ্চুরি।

দারুণ সব শটে ইনিংস সাজিয়েছেন ফিলিপস।
ছবি: এএফপি

মজার ব্যাপার হচ্ছে, দ্রুততম সেঞ্চুরির শীর্ষ দশে এমন কয়েকটি নামই আছে, যাঁরা ক্রিকেট দুনিয়ায় খুব বেশি পরিচিত নন। ৩৫ বলেই সেঞ্চুরি করেছিলেন এস উইকরামাসেকেরা নামের এক খেলোয়াড়, যিনি চেক রিপাবলিকের হয়ে খেলতে নেমেছিলেন তুরস্কের বিপক্ষে। ২০১৯ সালে ইলফোভ কাউন্টিতে নিজের নাম তোলেন রেকর্ড বুকে। আরেকটি নাম এস পেরিয়ালওয়ার। রোমানিয়ার এই ক্রিকেটার তুরস্কের বিপক্ষে ৩৯ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০১৯ সালেই। পরের নামগুলো হলো এইচজি মুনসে (৪১ বল, স্কটল্যান্ড), শাহরিয়ার বাট (৪১ বল, বেলজিয়াম), হজরাতউল্লাহ জাজাই ( ৪২ বল, আফগানিস্তান), জেপি কোর্টজে (৪৩ বল, নামিবিয়া)।

ফিলিপসের ওপরের তিনটি নাম—লোকেশ রাহুল (৪৬ বল, ভারত), ফ্যাফ ডু প্লেসি (৪৬ বল, দক্ষিণ আফ্রিকা) ও আর ই লেভি (৪৫ বল, দক্ষিণ আফ্রিকা)।
নিউজিল্যান্ডের বেঁধে দেওয়া ২৩৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৬ রানের বেশি করতে পারেনি। সর্বোচ্চ ২৮ রান কাইরন পোলার্ডের। এ ছাড়া শিমরন হেটমায়ার ২৫, কাইল মায়ারস ২০ আর কিমো পল ও আন্দ্রে ফ্লেচারের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ২৬ ও ২০ রান।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন কাইল জেমিসন ও মিচেল স্যান্টনার। একটি করে উইকেট টিম সাউদি, জিমি নিশাম, ইশ সোধি ও লকি ফার্গুসনের।