মাঠে এ রকম হতেই পারে

মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে আলাপচারিতায় নাসুম আহমেদছবি: নাসুমের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট

মুশফিকুর রহিম ক্ষমা চেয়েছেন। ক্ষমা চেয়েও রেহাই পাননি। পেয়েছেন শাস্তিও।

বঙ্গবন্ধু টি–টোয়েন্টি কাপে ফরচুন বরিশাল ও বেক্সিমকো ঢাকার মধ্যকার এলিমিনেটর ম্যাচে সতীর্থ নাসুম আহমেদের সঙ্গে তাঁর মাঠের আচরণটা যে ঠিক ছিল না, সেটা সবাই যেমন জানেন, তেমনি মুশফিকও খুব ভালো করে অনুধাবন করেছেন।

তবে যাঁর ওপর মেজাজ হারিয়ে ঢাকা অধিনায়ক মুশফিক এমন কাণ্ড করলেন, সেই নাসুম আহমেদ মনে করেন, এমন কিছু খেলার মাঠে হতেই পারে।

বরিশালের ইনিংসের ১৭তম ওভারের ঘটনা ছিল সেটি। তুমুল সমালোচনা তা নিয়েই। বাঁ হাতি পেসার শফিকুল ইসলামের একটি বাউন্সারে স্কুপ করার চেষ্টা করেছিলেন আফিফ হোসেন।

টাইমিংয়ে গড়বড় হয়ে সেটি উঠে যায় আকাশে। নাসুম দাঁড়িয়ে ছিলেন শর্ট ফাইন লেগে। সহজ ক্যাচই ছিল। বলে চোখ রেখে দৌড়ও শুরু করেছিলেন। কিন্তু নিজের কিপিং পজিশন থেকে দৌড়ে সেটি নাসুমের বদলে গ্লাভসবন্দী করেন মুশফিক।

তিনি এ সময় নাসুমের ওপর চড়াও হন, রীতিমতো মারতে যান। দু–কথা শুনিয়েও দেন। এর আগে ১৩তম ওভারেও নিজের বোলিংয়ে ফিল্ডিং করতে দেরি করায় মুশফিকের অখেলোয়াড়োচিত আচরণের শিকার হন নাসুম।

মেজাজ হারিয়ে নাসুমকে মারতে উদ্যত হয়েছিলেন মুশফিক
ছবি: প্রথম আলো

ঘটনাটি নিয়ে আজ নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে নাসুম পুরো ঘটনাটির ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বলেছেন, মুশফিককে নিয়ে গতকাল থেকে যে সমালোচনা হচ্ছে, সেটি কাম্য নয়, ‘গতকাল ম্যাচের পর থেকে আমাকে আর মুশফিক ভাইকে নিয়ে আপনারা অনেকে যেগুলো লিখছেন, এগুলো একদমই কাম্য নয়। ’

তাঁর মতে, এ ধরনের ব্যাপার মাঠে খুবই স্বাভাবিক বিষয়, ‘টিভি সেটে যা দেখেছেন, এগুলো মাঠে হতেই পারে।’ এরপরই আত্মসমালোচনা করেছেন নাসুম, ‘গতকালকে আমাদের মিস এফোর্টের (ব্যর্থ চেষ্টা) মাত্রাটা একটু বেশিই ছিল। গতকালকের ম্যাচে আমি পার্টিকুলারলি কিছুটা এফোর্টলেস (উদ্যমহীন) ছিলাম।’

গতকালের ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে লেখালেখিটা বেশ বিব্রতকর ঠেকছে নাসুমের কাছে, ‘মুশফিক ভাইয়ের সঙ্গে মাঠের বাইরে আমার বন্ধনটা অনেক ভালো। উনি আমাকে ব্যক্তিগতভাবে প্রচুর সময় দিয়েছেন, কীভাবে ভালো করা যায় তা নিয়ে। আমাদের মধ্যে তেমন কিছু হয়নি। ম্যাচের পর ড্রেসিংরুম ও টিম হোটেলে এ বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে আমার অনেকবার কথা হয়েছে। তিনি আমার বড় ভাইয়ের মতো। তাই বড় ভাই ও অধিনায়ক হিসেবে শাসন করতেই পারেন। দয়া করে এ ব্যাপারটা নিয়ে আর কিছু লিখবেন না।’

এ ঘটনার জন্য মুশফিককে ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা করেছেন ম্যাচ রেফারি রকিবুল হাসান। এ ছাড়া তিনি পেয়েছেন একটি ডিমেরিট পয়েন্ট।

এই টুর্নামেন্টে মোট ৪ ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে তিনি নিষিদ্ধ হবেন এক ম্যাচ। সেটি অবশ্য হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

বঙ্গবন্ধু কাপে আজ দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের পর বাকি আছে কেবল ফাইনাল। আজ জিতলে আরও একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন মুশফিক।