মাঠে ফিরতে চেয়েই সৌম্য শুনলেন দুঃসংবাদ

মাঠে ফিরতে মরিয়া সৌম্য সরকার। কিন্তু সেটা আপাতত হচ্ছে না। টিভিতে চোখ রাখছিলেন ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইংল্যান্ড–ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্টে। ছবি: ফেসবুক
মাঠে ফিরতে মরিয়া সৌম্য সরকার। কিন্তু সেটা আপাতত হচ্ছে না। টিভিতে চোখ রাখছিলেন ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইংল্যান্ড–ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্টে। ছবি: ফেসবুক

আজকেই ফেসবুকে পোস্টটা দিলেন সৌম্য সরকার, আর আজই কি না শুনলেন দুঃসংবাদটা!

ঢাকায় নিজের বাসার বসার ঘরে বসে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্ট দেখতে দেখতে সৌম্য ভাবছিলেন, কবে আবার ম্যাচ খেলবেন! ফেসবুক স্ট্যাটাসে সেটিই লিখলেন। সঙ্গে ছবি দিলেন, হাতে থাকা বলটাকে আলতো করে বাতাসে ছুড়ে দিয়ে টেলিভিশনে আনমনে দেখছেন ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্ট।

ফেসবুকে এই ছবি পোস্ট করার ঘণ্টা দুই পরই এই প্রতিবেদকের কাছে সৌম্য শুনলেন দুঃসংবাদটা। এশিয়া কাপ এবং দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলোর মতো স্থগিত হয়ে গেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও। শুনে সৌম্যের প্রশ্ন, ‘এখন তাহলে কী হবে ভাই! বিশ্বকাপ কি বাতিলই হয়ে গেল, নাকি পরে হলেও হবে?’

যখন শুনলেন এ বছর না হলেও এবারের বিশ্বকাপটা আগামী বছর হবে, কিছুটা যেন স্বস্তি পেলেন সৌম্য। তা ছাড়া করোনাভাইরাসের কারণে এই যে সব খেলা বন্ধ হয়ে আছে, সেটাকে এক দিক দিয়ে সমর্থনও করেন তিনি, ‘সবাই চায় খেলা হোক। হয়তো চাইলে এখন শুরুও করা যায়। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে যদি করোনায় আক্রান্ত হতে হয়, তাহলে তা ঠিক হবে না। ধরুন প্রিমিয়ার লিগ শুরু হলো। এরপর একটা ক্লাবের কয়েকজন ক্রিকেটার আক্রান্ত হলো। তখন ওই ক্লাবটার কী হবে? ঝুঁকি নিয়ে কিছু না করাই ভালো। আমাদের দেশ তো আর ইংল্যান্ড নয় যে সবাই সব মেনে চলবে।’

ব্যক্তিগত জীবনে সৌম্য নিজেও ঝুঁকি এড়িয়ে চলছেন। করোনাভাইরাসের সময়টাতে ঢাকায় করার তেমন কিছু নেই। গাড়ি চালক, গৃহপরিচারিকাদের ছুটি দিয়ে দিয়েছেন যেন সবাই ঘরে থাকতে পারে। এরপর সস্ত্রীক চলে গেলেন সাতক্ষীরার বাড়িতে। একটা কাজে এক দিনের জন্য ঢাকায় এসে আজ আবার ফিরে যাবেন সাতক্ষীরায়।

বাড়িতে ফিটনেসের কাজগুলো নিয়মিত করলেও ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলনের সুযোগ নেই। স্থানীয় কলেজ মাঠে একদিন অনুশীলন করতে গিয়ে কি অবস্থায় পড়েছেন, সেটা সৌম্যের মুখ থেকেই শুনুন, ‘ভেবেছিলাম একটু ব্যাটিং করব। কিন্তু একদিন গিয়েই আর যাইনি। ওখানে তো খোলা মাঠ। সব মানুষ ভিড় করে থাকে। এটা আরও ঝুঁকিপূর্ণ।’

কাল থেকে মিরপুরে অনুশীলন শুরু করেছেন মুশফিকুর রহিম-মোহাম্মদ মিঠুনরা। এটা দেখে সৌম্যও ভাবতে শুরু করেছেন তাদের সঙ্গে যোগ দেবেন কি না, ‘ভাবছি শুরু করব কি না। তার আগে আরও কয়েকটা দিন দেখি।’