মানকাডিং অতীত, অশ্বিনের সঙ্গে একই দলে রোমাঞ্চিত বাটলার

২০১৯ আইপিএলে বিতর্কিত সেই আউটের স্মৃতি ভুলে এখন সতীর্থ বাটলার–অশ্বিনছবি: বিসিসিআই

২০১৯ সালের আইপিএলে জস বাটলারকে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মানকাডিং আউটের কথা মনে আছে? বাটলার তখনো রাজস্থান রয়্যালসেরই খেলোয়াড় ছিলেন আর অশ্বিন ছিলেন পাঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক। ভারতের স্পিনার বোলিং করার সময় দেখলেন, বল ছাড়ার আগেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন বাটলার। এরই সুযোগ নিয়ে অশ্বিন তাঁকে মানকাডিং করেছিলেন। এবারের আইপিএলে তাঁরা দুজন সতীর্থ। আজ রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করবেন অশ্বিন ও বাটলার।

মানকাডিংকে স্বীকৃতি দিয়েছে আইসিসি
ফাইল ছবি

সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে রাজস্থানের আজকের এ ম্যাচের আগে সামনে চলে এসেছে সেই মানকাডিং। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে বাটলার–অশ্বিনকে। বাটলার বলেছেন, মানকাডিংয়ের সেই ঘটনা নিয়ে অশ্বিনের প্রতি তাঁর কোনো রাগ নেই। অশ্বিনের কথা, সেই সময় বাটলারের মনের অবস্থা তিনি এখন উপলব্ধি করতে পেরেছেন। অমন একটি আউট নিয়ে বাটলারের হতাশ হওয়াটা স্বাভাবিক ছিল বলেই মনে করেন ভারতের অফ স্পিনার।

সেই সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাটলারকে করা অশ্বিনের মানকাডিং নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছিল। কেউ অশ্বিনের পক্ষে কথা বলেছেন, কেউ আবার ছিলেন তাঁর বিপক্ষে। সেই মানকাডিং নিয়ে অশ্বিনকে কাল প্রশ্ন করা হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে অশ্বিন বলেছেন, ‘সেই ঘটনায় বাটলার খুব হতাশ হয়েছিল বলেই মনে হয় আমার। কারণ, এটা তো সাধারণত কেউ করে না। এমন নয় যে এটা হরহামেশাই ঘটে। আমি এটা বুঝতে পারছি।’

অশ্বিনের সঙ্গে ড্রেসিং রুম ভাগাভাবি করবেন বাটলার
ছবি: রয়টার্স

সম্প্রতি ক্রিকেটের আইনপ্রণেতা সংস্থা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব মানকাডিংকে সাধারণ রানআউট বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। এখন আর এই আউটকে কেউ অখেলোয়াড়সুলভ বলতে পারবে না। ওটাই অবশ্য বাটলারের ক্যারিয়ারের একমাত্র মানকাডিং নয়। এ কারণেই ভবিষ্যতে আর যেন সে ধরনের কিছু না ঘটে, সেদিকেই নজর দিচ্ছেন বলে জানালেন বাটলার, ‘আমি ক্যারিয়ারে দুবার এভাবে রানআউট হয়েছি। যথেষ্ট শিক্ষা পেয়েছি। এটা ঠিক যে এ ধরনের আউট আপনাকে কষ্ট দেবে, মানুষ নানা ধরনের কথা বলবে। তবে সেগুলো আমার কাছে কোনো ব্যাপার নয়।’

আইপিএলে অশ্বিনের সেই মানকাডিং নিয়ে কোনো রাগ বা ক্ষোভ পুষে রাখেননি বাটলার। ইংল্যান্ডের উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান অশ্বিনের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করতে উন্মুখ হয়ে আছেন, ‘আমি রাগ পুষে রাখার লোক নই। আমি আপাতত এ মৌসুমের খেলা নিয়ে রোমাঞ্চ অনুভব করছি। অ্যাশকে দলে পেয়ে আমি রোমাঞ্চিত। সে এমন একজন খেলোয়াড়, সব সময়ই জিততে চায়। আমি সব সময়ই সেরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলতে চাই।’