‘মানকাডিং’–এর সঙ্গে ‘ক্রিকেটীয় চেতনা’র সম্পর্ক বোঝেন না হার্শা

কাল মোস্তাফিজ ব্রাভোকে ‘মানকাডিং’ করে আউট করতে পারতেনছবি : টুইটার
মানকাডিংয়ের পক্ষে হার্শার অবস্থান এটাই প্রথম নয়
ছবি : টুইটার

রবিচন্দ্রন অশ্বিনের কল্যাণে শুধু আইপিএল নয়, বরং গোটা ক্রিকেট–বিশ্বেই ‘মানকাডিং’ শব্দটা এখন বেশ পরিচিত। ওই যে বোলার বল ছাড়ার আগেই অনেক সময় ক্রিজ থেকে বেরিয়ে যান নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে থাকা ব্যাটসম্যান। তখন তাঁকে বোলার আউট করে দিলে সেটাই ‘মানকাডিং’। এভাবে আউট করে এর আগেও অনেকের চক্ষুশূল হয়েছেন অশ্বিন।

ক্রিকেটীয় চেতনাকে পাত্তা দেন না—এমন অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তেই মানকাডিংয়ের ঘটনা ঘটলেই ক্রিকেটীয় চেতনা নিয়ে তর্ক–বিতর্ক চলে। আর সেখানে মানকাডিংয়ের পক্ষে কথা বলে লড়তে থাকেন অশ্বিন। মানকাডিংয়ের পক্ষে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে এবার হার্শা ভোগলেকেও সঙ্গী হিসেবে পেলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের এই অফ স্পিনার।

মানকাডিং আউট করে এর আগেও অনেকের চক্ষুশূল হয়েছেন অশ্বিন
ছবি : টুইটার

গত রাতে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজ একপর্যায়ে একটা নো বল করেন। রিপ্লেতে যখন সেই নো-বলের যৌক্তিকতা যাচাই করে দেখা হচ্ছিল, তখন দেখা গেল, নন-স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা চেন্নাই সুপার কিংসের ব্যাটসম্যান ডোয়াইন ব্রাভো বোলিং ক্রিজ ছেড়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন। মোস্তাফিজ অত-শত খেয়াল করেননি, করলে হয়তো ব্রাভোকে ‘মানকাডিং’ করে আউট করতে পারতেন।

ব্রাভোর এই অসচেতনতা দেখে বিরক্তই হয়েছেন হার্শা ভোগলে। তাঁর মতে, ব্রাভোকে ‘মানকাডিং’ করে দেওয়া উচিত ছিল মোস্তাফিজের। বোলারদের জন্য মানকাডিং আউট বাধ্যতামূলক করা উচিত বলে মনে করছেন এই ধারাভাষ্যকার, ‘দেখুন ব্রাভো কোথায় আসছে। ঠিক এ কারণেই আমার মনে হয় এটা সম্পূর্ণ বোলারদের অধিকার (ব্যাটসম্যানকে মানকাডিং করে আউট করা)। ব্যাপারটা বাধ্যতামূলক করা উচিত, প্রত্যেক দলের মিটিংয়ে এটা বলে দেওয়া উচিত যে সুযোগ পেলেই ব্যাটসম্যানকে মানকাডিং আউট করো।’

মানকাডিং আউট করা না–করার সঙ্গে ক্রিকেটীয় চেতনাকে মিলিয়ে ফেলার বিষয়টা আরও বেশি বিরক্ত করে হার্শাকে, ‘একজন বোলার ব্যাটসম্যানকে মানকাডিং করে আউট করতে পারবে কি না, এটার সঙ্গে ক্রিকেটীয় চেতনা গুলিয়ে ফেলার বিষয়টা বিরক্তিকর।’

তবে মানকাডিংয়ের পক্ষে হার্শার অবস্থান এটাই প্রথম নয়; এর আগেও অশ্বিনকে সমর্থন দিয়েছিলেন তিনি, ‘আমি এর পক্ষে। নন-স্ট্রাইকারকে অবশ্যই দাগের মধ্যে থাকতে হবে। এখন পর্যন্ত আমি যা পড়েছি বা শুনেছি তাতে মানকাডিংয়ের বিপক্ষে কোনো যুক্তি পাইনি।’