মানসিকতাতেই সমস্যা বাংলাদেশের পেসারদের?

বাংলাদেশের পেসারদের সমস্যা কোথায়ছবি: এএফপি

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য সহায়ক ছিল, সেটি বোঝাই গেছে। কিন্তু এই উইকেটে যেখানে পাকিস্তানের তিন পেসার ১৬ উইকেট নিয়েছেন, সেখানে বাংলাদেশের দুই পেসার করেছেন সংগ্রাম। ইবাদত হোসেন তা-ও প্রথম ইনিংসে ২ উইকেট পেয়েছেন, আবু জায়েদ কোনো উইকেটের দেখা পাননি। পাকিস্তানের দুই ওপেনার আবিদ আলী ও আবদুল্লাহ শফিকের তাই তেমন কোনো সমস্যাই হয়নি।

শাহিন শাহ আফ্রিদি প্রথম ইনিংসে নিয়েছেন ২ উইকেট, দ্বিতীয় ইনিংসে ৫টি। হাসান আলী প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট শিকারের পর দ্বিতীয় ইনিংসে পেয়েছেন ২টি। বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা তো খাবি খেয়েছেন আফ্রিদির বলে শুরু থেকেই। হাসানও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন। তাঁর বল সামলাতেও হিমশিম খেয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। পেস বোলিং অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফকেও ২টি উইকেট দিয়েছে বাংলাদেশ। একই উইকেটে এই পার্থক্য চোখে লাগছে বাজেভাবেই। দক্ষতায় বাংলাদেশি পেসাররা পিছিয়ে, তাই বলে এতটা!

চট্টগ্রামে ২ উইকেট নিয়েছেন ইবাদত
ছবি : শামসুল হক

পার্থক্যটা আসলে কোন জায়গায়, এ নিয়ে গবেষণা হতেই পারে। তবে অধিনায়ক মুমিনুল হক আজ ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন, দক্ষতায় তো বটেই বাংলাদেশি পেসাররা পিছিয়ে আছেন অভিজ্ঞতায়ও। তাঁর মতে, বেশি বেশি দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচ না খেলার অভিজ্ঞতাই আসলে মূল সমস্যা, ‘আমার মনে হয়, ফ্ল্যাট উইকেটে কীভাবে বোলিং করতে হয়, সেটি জানা খুবই জরুরি। কোচরা আরও ভালো বলতে পারবেন আমার চেয়ে, তবে বিদেশে বোলিং করা একরকম, দেশে করা আরেক রকম। আমি মনে করি, বেশি করে চার দিনের ম্যাচ খেলা উচিত আমাদের বোলারদের।’

আবু জায়েদের বল ছিল নির্বিষ, নখদন্তহীন
ছবি: শামসুল হক

পাকিস্তানি পেসারদের সঙ্গে আমাদের পেসারদের পার্থক্য এই দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচ খেলাতেই—এটাই মনে করেন মুমিনুল, ‘পাকিস্তান ও ভারতের পেসারদের দেখুন, ওরা বড় পরিসরের অনেক ম্যাচ খেলে, অনেক অনেক বোলিং করে। আমাদের পেসারদেরও উচিত আরও বেশি করে চার দিনের ম্যাচ খেলা।’

সবশেষে মুমিনুল পেসারদের মানসিকতায় বদল আনারই পরামর্শ দিয়েছেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের পেসারদের ব্যাপারটা পুরোপুরি মানসিক। তাদের জানতে হবে, তারা কোন জায়গায় শক্তিশালী, কোন জায়গায় দুর্বল, কোন জায়গায় কাজ করতে হবে, এটা জানা খুবই দরকার।’