মার্শদেরই একজন জেতালেন অস্ট্রেলিয়াকে

দুবাইয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। মিলটা হলো, অস্ট্রেলিয়ার প্রথম বিশ্বকাপজয়ী দলে ছিলেন জিওফ মার্শ। আজ টি-টোয়েন্টি সংস্করণে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম বিশ্বকাপজয়ী দলেও যে মার্শকে দেখা গেল, তিনি জিওফেরই ছেলে মিচেল মার্শ।

ম্যাচ জেতানো ইনিংসের পর সতীর্থদের কোলে মিচেল মার্শছবি: এএফপি

তাঁদের মতো আর কজনই-বা আছেন! ১৯৮৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া দলে ছিলেন জিওফ মার্শ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সে ম্যাচে ওপেন করে ২৪ রানও করেছিলেন সাবেক এই ওপেনার। পরে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপও জিতে নেয়।

৩৪ বছর পর কে জানত, অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী দলে আরও একজন মার্শকে দেখা যাবে। শুধু দেখা বললে ভুল হয়—রীতিমতো অস্ট্রেলিয়ার টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক!

দুবাইয়ে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। মিলটা হলো, অস্ট্রেলিয়ার প্রথম বিশ্বকাপজয়ী দলে ছিলেন জিওফ মার্শ। আজ টি–টোয়েন্টি সংস্করণে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম বিশ্বকাপজয়ী দলেও এক মার্শকে দেখা গেল। মিচেল মার্শ—জিওফ মার্শেরই ছেলে। বাবা–ছেলে দুজনেরই বিশ্বকাপ জয়ের নজির প্রথম কি না, তা অবশ্যই গবেষণার বিষয়।

তবে মার্শ আজ যে ইনিংস খেলেছেন, তাতে তাঁর হাতে ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ৪ ছক্কা ও ৬ চারে ৫০ বলে ৭৭ রানের অপরাজিত ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের ১৭২ রান তাড়া করে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের ‘নিউক্লিয়াস’ ছিলেন মার্শ।

তৃতীয় ওভারে অ্যারন ফিঞ্চ আউট হওয়ার পর তিনে নামেন মার্শ। ব্যাটিং অর্ডারে একটু ওপরে জায়গা পাওয়ার পর থেকে বেশ ভালোই করছিলেন মার্শ। আজ ছিল তাঁর চূড়ান্ত পরীক্ষা। মার্শ সে পরীক্ষায় আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যান অ্যাডাম মিলনের করা প্রথম বলেই ছক্কা মেরে। পরের দুই বলেও দুটি চার মেরে রান তাড়ার সুর বেঁধে দেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।

ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ৫৯ বলে ৯২ এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে ৩৯ বলে অবিচ্ছিন্ন ৬৬ রানের জুটি গড়ে অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত করেন মার্শ। এমন পারফরম্যান্সের পর ভাষা হারানোই স্বাভাবিক।

মার্শও ম্যাচ শেষে তেমন অনুভূতিই প্রকাশ করলেন, ‘বলার ভাষা নেই। ছয়টা সপ্তাহ দারুণ কাটল দলের সঙ্গে। ওদের জন্য মরতেও পারি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে থাকার সময়ে কোচরা এসে বললেন, তিনে ব্যাট করতে হবে। প্রস্তাবটা লুফে নিই।’

আর প্রথম বলে ছক্কা হাঁকানো নিয়ে মার্শ বললেন, ‘অত কিছু ভেবে মারিনি। ম্যাচে থাকতে চেয়েছি। নিজের খেলাটা খেলতে চেয়েছি।’