মাহমুদউল্লাহ একা টানলেন খুলনার ইনিংস

দারুণ ব্যাটিং করেছেন মাহমুদউল্লাহ।ছবি: শামসুল হক

দুই উইকেট নেই। গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল হাসান চেপে ধরেছিলেন জেমকন খুলনার রানের চাকা। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর টিকে থাকা ছাড়া আর কোনো গতি নেই। এমন সময় রকিবুলের স্পিনে এলবিডব্লু হতে পারতেন ৭ রানে অপরাজিত মাহমুদউল্লাহ। রিভিউ নিয়ে এ যাত্রায় বেঁচে যান খুলনার অধিনায়ক। বাঁচান খুলনাকেও। তাঁর ৪৮ বলে ৭০ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংসে খুলনা শেষ পর্যন্ত করে ৭ উইকেটে ১৫৫ রান। ফাইনাল ম্যাচের জন্য যে রানটা একদম কমও না।

এই প্রতিবেদন লেখার সময়ে জবাব দিতে নেমে চট্টগ্রাম ৭ ওভারে ২ উইকেটে করেছে ৪২ রান।  

ম্যাচের শুরু থেকে ভাগ্য কথা বলছিল চট্টগ্রামের হয়ে। পুরো টুর্নামেন্টে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বোলাররা ব্যাটসম্যানদের কাজ সহজ করে এসেছেন। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালেও চট্টগ্রাম অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের হয়তো একই প্রত্যাশা ছিল। তাই টসে জিতে দায়িত্বটা বোলারদেরই দিলেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক।

জহুরুল আউট। উল্লাস চট্টগ্রামের।
ছবি: প্রথম আলো

মিঠুন শুরুতেই জুয়া খেলেন নাহিদুল ইসলামকে বোলিংয়ে এনে। খুলনার বাঁহাতি ওপেনার জাকির হাসানের জন্যই নাহিদুলের অফ স্পিন দিয়ে ইনিংস শুরু করা। কিন্তু বিরাট ভুল করে বসেন ওপেনার জহুরুল ইসলাম। ইনিংসের প্রথম বল, অফ সাইডে বৃত্তে সাজানো ফিল্ডারদের ফাঁকে সহজেই ড্রাইভ করতে পারতেন। তা না করে খেলতে গেলেন মিড অফের মাথার ওপর দিয়ে। টাইমিংয়ের গড়বড় হওয়ায় ক্যাচ তোলেন। গত দুই ম্যাচে ৮০ ও ৫৩ করা জহুরুল আউট ইনিংসের প্রথম বলেই।

হুট করেই যেন এলোমেলো খুলনার টপ অর্ডার। ইমরুল কায়েস ও জাকির থিতু হন। কিন্তু আউট হন বড় ইনিংস না খেলে।

এরপর পুরো গল্পটাই মাহমুদউল্লাহর। আরিফুল হক ও শুভাগত হোমের সঙ্গে ছোট ছোট জুটি বাঁধেন। অপেক্ষায় থাকেন বড় শটের। হাত খুলে খেলার সুযোগ কম ছিল। ইনিংসের শুরুতে শরিফুল ইসলাম ও স্পিনারদের চাপ। মাঝের ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান বোলিংয়ে এলে রানের গতি বাড়াতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। মোসাদ্দেক হোসেনের এক ওভার দ্রুত কিছু রান তোলেন। এরপর মোসাদ্দেককে আর বোলিংই দেননি মিঠুন। সৌম্য সরকারের মিডিয়াম পেস দিয়ে মোসাদ্দেকের কাজ সারেন।

তবে মাহমুদউল্লাহ সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন সজাগ। শেষের দিকে ওভারপ্রতি ১০-১২ করে রান নিয়েছেন। ফিফটি করেন ৩৯ বলে। শেষ ওভারে এসে সৌম্যর এক ওভারে ১৭ রান নিয়ে দলের রান বাড়িয়ে নেন ১৫৫ রানে। ৮টি চার ও ২টি ছয়ে ৪৮ বলে ৭০ রানের টুর্নামেন্টের সেরা অধিনায়কোচিত ইনিংসটি খেলেন মাহমুদউল্লাহ।