মাহমুদউল্লাহ বোলারদের বলেছিলেন চালাক হতে, স্নায়ুকে ঠান্ডা রাখতে

বোলারদের চালাক হতে বলেছিলেন মাহমুদউল্লাহছবি: শামসুল হক

সিরিজ শুরুর আগে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট কেমন হবে, সেটা নিয়ে একটা রহস্যই রেখে দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। বলেছিলেন, সবকিছু খোলাসা করতে চান না। বোলারদের অবশ্য ইঙ্গিতটা ঠিকই দিয়ে রেখেছিলেন। শেষ ম্যাচের পর বাংলাদেশ অধিনায়ক জানালেন, বোলারদের বাড়তি দায়িত্ব নেওয়ার কথা সিরিজ শুরুর আগেই জানিয়েছিলেন তিনি।

এ সিরিজে নিশ্চিতভাবেই বোলারদের পারফরম্যান্স এগিয়ে রেখেছে বাংলাদেশকে। অস্ট্রেলিয়ানরা বাংলাদেশের পেসার আর স্পিনারদের বুঝেই উঠতে পারেননি সেভাবে। স্বাভাবিকভাবেই বোলারদের পারফরম্যান্স নিয়ে বেশ খুশি মাহমুদউল্লাহ, ‘সিরিজ শুরুর আগে আমি বোলারদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। বলেছিলাম এই সিরিজে আমাদের বোলারের ওপর বাড়তি দায়িত্ব থাকবে। আমাদের স্নায়ুর খেলায় ভালো করতে হবে। চালাক হতে হবে। দলকে জেতানোর দায়িত্বটা বোলারদের নিতে হতো। যেভাবে প্রতিটা ম্যাচে বোলাররা লড়েছে, তা দেখতে খুবই ভালো লেগেছে।’

স্নায়ুর লড়াইয়ে জয়ী হওয়াটাও ছিল আবশ্যিক
ছবি: শামসুল হক

সিরিজ শুরুর আগেও মাহমুদউল্লাহ বলেছিলেন, টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ কেমন দল, সেটার ছাপ নেই র‍্যাঙ্কিংয়ে। এদিনও বললেন, টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ভালো দল। ঘরের মাঠেও সবাইকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত তাঁরা, ‘আমরা সব সময় মনে করি, নিজেদের কন্ডিশনে আমরা ভালো দল। আমরা কাউকেই ছাড় দিব না। যে-ই খেলতে আসুক না কেন, আমরা সবার জন্যই চ্যালেঞ্জিং দল। ঘরের মাঠে আমরা প্রতিটা সিরিজ জিততে চাই। প্রতিটা ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সেই জেতার ক্ষুধা থাকতে হবে।’

সব মিলিয়ে কেমন লাগছে, সে প্রশ্নের জবাবে শুধু সবাইকেই কৃতিত্ব দিলেন তিনি, ‘কী ভাবছি, তা প্রকাশ করা কঠিন। তবে আমি দলের প্রত্যেকের জন্য খুবই খুশি। টিম ম্যানেজমেন্ট অনেক সাহায্য করেছে। ছেলেরা জয়ের ক্ষুধা দেখিয়েছে। তাদের চরিত্র ফুটে উঠেছে। আমরা আমাদের পরিকল্পনাগুলো ভালোভাবে প্রয়োগ করতে পেরেছি। এখানে ব্যাটসম্যানদের রান করা কঠিন ছিল। কিন্তু আমরা ভালো কিছু করতে পেরেছি। ১২০-১৩০-এর মতো রান করতে পেরেছি। ম্যাচে টিকে থেকেছি। কৃতিত্বটা মূলত আমাদের বোলারের দিতে চাই। ওরা অসাধারণ বোলিং করেছে। প্রত্যেক বোলারই দারুণ বোলিং করেছে।’

বাংলাদেশ নিজেদের কন্ডিশনে ভালো দল, বিশ্বাস মাহমুদউল্লাহর
ছবি: শামসুল হক

বোলারদের উন্নতিটাও চোখে পড়ছে বাংলাদেশ অধিনায়কের, ‘উন্নতিটা হয়েছে ভালোভাবে। জিম্বাবুয়ে ও বাংলাদেশ ফাস্ট বোলাররা যেমন ভালো করেছে, তেমনি ভালো করেছে স্পিনাররা। ওরা খুবই কঠোর পরিশ্রম করেছে। ওরা স্নায়ুর খেলায়ও জিতেছে। কারণ, টি-টোয়েন্টিতে অনেক চাপ থাকে। যেখানে চাপের মুখে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হয়। নিজের সামর্থ্যে বিশ্বাস রাখতে হয়। এ ক্ষেত্রে ম্যানেজমেন্টের ভালো সমর্থন ছিল। সবটাই দলীয় পারফরম্যান্সের কারণে হয়েছে।’

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সিরিজ জয়টা বাংলাদেশ দল উৎসর্গ করেছে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদ হওয়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারকে। ম্যাচ শেষের পুরস্কার বিতরণীতেই এ ঘোষণা দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। পরে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিও দিয়েছে বিসিবি।