মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে লড়াই মুশফিকেরও
বিশ্বকাপে কোনো সেঞ্চুরি নেই বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৫ রান করে ফিরেছিলেন তামিম ইকবাল। আজ দারুণ নির্ভরতার সঙ্গে খেলে নিজের স্কোরকে আশির ওপরে নিয়ে গেছেন মাহমুদউল্লাহ। এই মুহূর্তে ৯১ রানে অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিক তিনি। তিনি কি ছাড়িয়ে যেতে পারবেন প্রথম দু’জনকে? পাবেন কি বিশ্বকাপে প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে দিন অঙ্ক ছুঁতে? এসব প্রশ্ন ছাপিয়ে এই মুহূর্তে বড় খবর মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে মাহমুদউল্লাহর জুটি। পঞ্চম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন থেকে ৯০ রান তুলে এই দুই ব্যাটসম্যান পথ দেখাচ্ছেন বাংলাদেশকে। মুশফিক অপরাজিত আছেন ৫০ রানে। স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশ দেখছে ৪ উইকেটে ১৯৪ (৪ ওভারে)।
এর আগে, শুরুতে ২ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ের মধ্যেই ছিল বাংলাদেশ। ইমরুল কায়েস ও তামিম ইকবাল নিজেদের অফস্ট্যাম্প বুঝতে পারেননি। স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়ে ধরেছিলে সাজঘরের পথ। অকূল পাথারে দাঁড়িয়ে এর পর পাল্টা লড়াইটা জমিয়ে দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ ও সৌম্য সরকার। নিজেদের মধ্যে ৮৬ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে সামাল দিয়েছেন বিপর্যয়, প্রতি আক্রমণেও ইংলিশদের কপালে ফেলেছেন চিন্তার ভাঁজ। তৃতীয় উইকেট জুটির এই ৮৬ রান এসেছে ১৮ ওভারে, ওভারপ্রতি ৪.৭৩ হারে।
মাহমুদউল্লাহ-সৌম্যর পাল্টা আক্রমণের প্রতিরোধ ভেঙেছেন ক্রিস জর্ডান। দারুণ এক শর্টবলে সৌম্যকে বিভ্রান্ত করে উইকেটরক্ষক বাটলারের ক্যাচ বানিয়েছেন তাঁকে। সৌম্যর ব্যাট থেকে এসেছে ৪০ রান। সৌম্যর বিদায়ের পর বেশ দ্রুতই সাজঘরে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। মঈন আলীর বলে স্লিপে জো রুটকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।
জর্ডান ও মঈন আলীর একটি করে উইকেটের পাশাপাশি বাংলাদেশের অন্য দুটি উইকেট তুলে নিয়েছেন জেমস অ্যান্ডারসন।
আরও পড়ুন:
মাহমুদউল্লাহর অর্ধশতক