মিউনিখ ট্র্যাজেডির সঙ্গে স্পট ফিক্সিং করা দলের তুলনা অশ্বিনের!

প্রিয় দলের প্রতি ভালোবাসা জানাতে একটু বেশিই কি আবেগ প্রকাশ করে ফেললেন অশ্বিন? ফাইল ছবি
প্রিয় দলের প্রতি ভালোবাসা জানাতে একটু বেশিই কি আবেগ প্রকাশ করে ফেললেন অশ্বিন? ফাইল ছবি

দুই বছর পর আবারও আইপিএলে ফিরছে চেন্নাই সুপার কিংস। নিজের প্রিয় দলের প্রত্যাবর্তনে একটু আবেগপ্রবণ হয়ে উঠতেই পারেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। কিন্তু আবেগের পালে হাওয়া একটু বেশিই দিয়ে ফেলেছেন অশ্বিন। সিএসকের প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে টেনে এনেছেন মিউনিখ ট্র্যাজেডির ঘটনাকে। ফলে অবশ্যম্ভাবী ঘটনাটিই ঘটেছে, সমালোচনার ঝড় বইছে অশ্বিনকে নিয়ে।

১৯৫৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। মিউনিখে ইউরোপিয়ান কাপের ম্যাচ খেলে ফিরে আসার পথে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন আটজন ইউনাইটেড খেলোয়াড়। সব মিলিয়ে ২৩ জনের মৃত্যু ঘটে সেদিন। স্যার ম্যাট বাসবির তরুণ ‘বাসবি বেইবস’খ্যাত দলটির এমন ঘটনা ইংল্যান্ডের ফুটবল ইতিহাসেরই অন্যতম শোকের দিন হিসেবে মনে করা হয়।

আর আইপিএলে চেন্নাই দল গত দুই বছর অনুপস্থিত ছিল। স্পট ফিক্সিং ও ম্যাচ পাতানোর মতো জঘন্য অভিযোগেই এ শাস্তি জুটেছিল তাদের। তাই তাদের এমন প্রত্যাবর্তন নিয়ে প্রশ্ন আছে অনেকেরই। অশ্বিন সে দলে নেই। এ দলে খেলেই তো ক্যারিয়ারের তুঙ্গে পৌঁছেছেন এই অফ স্পিনার। তাই আবেগে ভেসে বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, দুই বছরের এই ধাক্কা সিএসকের মূল্য আরও বাড়িয়ে দেবে, বিমান দুর্ঘটনার পর যেমন ইউনাইটেডের বেড়েছিল!’ এরপর নিজেই ব্যাপারটা একটু গ্রহণযোগ্য করার চেষ্টা করেছেন, ‘আমি জানি না দুটি একই মাপের কি না, তবে চেন্নাই ও পৃথিবীর অনেক লোক সুপারকিংসের অপেক্ষায় আছে। আমি আশা করছি, এটা দারুণ প্রত্যাবর্তন হবে।’

ভক্ত-সমর্থকদের খেপিয়ে তুলতে এর চেয়ে আর বেশি কিছুর দরকার ছিল না। মিউনিখ ট্র্যাজেডির গল্প শুনে বড় হয়েছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। এ গল্প মানুষকে যেমন শোকাহত করে, তেমনি আবার ফিরে আসার অনুপ্রেরণা দেয়। ১০ বছর পর ওই দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা ববি চার্লটন ও বিল ফকসের ইউরোপিয়ান কাপ জয় তো শুধু ইউনাইটেডের জয় নয়, ফুটবলের জয় হিসেবে দেখা হয়। এ ঘটনায় ইউনাইটেডের জনপ্রিয়তা বেড়েছে ঠিকই, তাই বলে সে ঘটনার সঙ্গে কলুষিত এক দলকে টেনে আনা! অনেকেই বলেছেন, জুভেন্টাসের সঙ্গে তুলনা টানলেও ব্যাপারটা মেনে নেওয়া যেত, কারণ দুই দলই ম্যাচ পাতানোর কারণে নিষিদ্ধ হয়ে তারপর প্রত্যাবর্তন করেছে। কিন্তু ইউনাইটেডকে টেনে সিএসকেকে বড় করার এমন চেষ্টা হাস্যকর। অনেক সমর্থক তো অশ্বিনের বুদ্ধিমত্তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন।

পরিস্থিতি এতটাই বাজে রূপ নিয়েছে, অশ্বিনকে টুইটারের সাহায্য নিতে হয়েছে, ‘সবাই মিউনিখ ট্র্যাজেডি ও সিএসকের প্রতিবেদন ভিন্নভাবে নিচ্ছেন। আমি শুধু বলেছি, এ বিরতি সমর্থকদের আরও বেশি করে ফিরিয়ে আনবে। এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কিছু নেই।’ সূত্র : ক্রিকইনফো।