মিরপুরে জোরে বল করলেই বেশি মার খাচ্ছেন নিউজিল্যান্ডের ফাস্ট বোলার

নিউজিল্যান্ডের পেসার বেন সিয়ার্সছবি: প্রথম আলো

তাঁর বোলিং অ্যাকশনটা একটু অদ্ভুত। নিউজিল্যান্ড দলের বাকি ফাস্ট বোলারদের চেয়ে বেন সিয়ার্সকে ওই অ্যাকশনের কারণেই সহজে আলাদা করা যায়। আরেকটি কারণে তিনি আলাদা, সেটা হচ্ছে গতি।

পাঁচ পেসারের নিউজিল্যান্ড দলে সিয়ার্সের গতিই বেশি। ২৩ বছর বয়সী এই তরুণকে প্রথমবারের মতো দলে ডাকা হয়েছে তাঁর গতি দেখেই। কিন্তু খেলাটা বাংলাদেশের মাটিতে। যেখানে গতির কারণে গুনতে হতে পারে বাড়তি রানও।

সিয়ার্সের জন্য যা কিছুটা বিস্ময়ের। একেবারেই নতুন কন্ডিশনের সঙ্গে এই তরুণ কিউই ফাস্ট বোলারের প্রথম পরিচয়। আর এই কন্ডিশনে অনুশীলন করতে গিয়ে বুঝেছেন, এখানে গতিই সব নয়, সঙ্গে বৈচিত্র্য থাকাটা খুব জরুরি।

আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের মাঝমাঠে সে জন্যই হয়তো সিয়ার্সকে গতিময় বলের সঙ্গে দু-একটি কাটার করতেও দেখা যাচ্ছিল। সাধারণত দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সময় স্বাগতিক দেশ ছাড়া ভেন্যুর মাঝমাঠে অন্য দলকে অনুশীলনের সুযোগ দেওয়া হয় না।

নিউজিল্যান্ড দল অবশ্য এই মাঠেই নিজেদের মধ্যে একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলারই অনুরোধ করেছিল দিন দুয়েক আগে। খুব স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সেই অনুরোধ রাখতে পারেনি। তবে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ দেওয়া যায়নি বলেই আজ মিরপুরের মাঝমাঠে অনুশীলনের অনুমতি দেওয়া হয় কিউইদের। যেখানে সিয়ার্স ও নিউজিল্যান্ড দলের বাকিরা ম্যাচের পরিস্থিতি তৈরি করে অনুশীলন করেন।

ঢাকার তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পরীক্ষা দিতে হচ্ছে সিয়ার্সকে
ছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশের কন্ডিশনের বাস্তবতা সেখানেই যেন টের পেলেন সিয়ার্স। দিন শেষে তিনি বলছিলেন, ‘জোরে বোলিংয়ের চেষ্টা তো থাকেই। তবে উইকেট এখানে ভিন্ন। এখানে আরও বুদ্ধিমান হতে হবে। নেটে কখনো কখনো মনে হচ্ছে, জোরে বল করলেই বেশি মার খাচ্ছি। এখানে তাই বৈচিত্র্য ধরে রাখতে হবে। অফ কাটার এখানে কার্যকর হতে পারে। সবকিছুর মিশ্রণে বোলিং করতে হবে।’

ঢাকার তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পরীক্ষাটাও দিতে হচ্ছে সিয়ার্সকে, ‘এখানে প্রচণ্ড গরম। প্রচুর পানি খেতে হচ্ছে। এমন গরমে এই প্রথম অনুশীলন করছি। অভ্যস্ত হওয়ার চেষ্টা করছি, কীভাবে অস্বস্তিকর অবস্থাও বোলিং করা যায়।’

দলের বাকি পেসারদের সঙ্গে সিয়ার্সের প্রতিযোগিতা হবে এখানেই। কন্ডিশন ও গতির সঙ্গে কে কতটা বৈচিত্র্য যোগ করতে পারেন, সেটার ওপর নির্ভর করে মিলবে সুযোগ। সিয়ার্সও অপেক্ষায় আছেন সেই সুযোগের। খেলতে পারলে দলকে সাফল্য এনে দিতে পারবেন বলেও আশা তাঁর, ‘এই সফরটা আসলে আমার জন্য অন্য রকম। আমি হয়তো নিউজিল্যান্ড পেসারদের মধ্যে ১৫ নম্বরে থাকব। কিন্তু বাকিরা না থাকায় আমার ডাক পড়েছে। এখন যদি খেলার সুযোগ পাই, নিজেকে চেনানোর সুযোগ পাই, তাহলে দারুণ ব্যাপার হবে।’