মিরাজ-চমকে বিপদ বাড়ল সিলেটের

আজ দারুণ খেলেছেন মিরাজ। ছবি: প্রথম আলো
আজ দারুণ খেলেছেন মিরাজ। ছবি: প্রথম আলো

বিপিএলের শুরুতে সিলেট থান্ডারকে কেউ ফেবারিট বলে দাবি করেনি। তাই বলে এতটা বাজে পারফরম্যান্স তারা দেখাবে, এটাও হয়তো আশা করেনি কেউ। এখনো পাঁচ ম্যাচ বাকি তাদের, ফলে কাগজে-কলমে কোয়ালিফায়ারের আশা ভালোমতোই আছে দলটির। কিন্তু সাত ম্যাচে মাত্র এক জয় পাওয়া সিলেটের জন্য কাজটা কঠিন করে দিল খুলনা টাইগার্স। মেহেদী হাসান মিরাজের দারুণ এক ইনিংসে সিলেটকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা। ১৫৮ রানের লক্ষ্যে নামা খুলনার হাতে ছিল আরও ১৩ বল।

টুর্নামেন্টের আগের ছয় ম্যাচে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছিল সিলেট। সেটা অবশ্য এই খুলনার বিপক্ষেই। আজ আরেকটি জয় বিপিএলে সিলেটের আশা বাড়াতে পারত। কিন্তু ম্যাচের শুরু থেকেই যে ছিটকে পড়ল দলটি। ৬ উইকেট হাতে নিয়েও টেনেটুনে মাত্র ১৫৭ রান তুলেছে সিলেট।

রান তাড়া করতে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজ প্রথমেই নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। নিয়মিত ওপেনারদের ব্যর্থতা খুলনাকে বাধ্য করেছে মিরাজকে শুরুতে নামানোর জুয়া খেলতে। আগের দুই ম্যাচে খুব একটা কাজে আসেনি এ পরীক্ষা–নিরীক্ষা। কিন্তু আজ মিরাজ নিজের ব্যাটিং দক্ষতার কথা জানিয়ে দিয়েছেন জোরেশোরে। প্রথম ওভারেই ক্রিশমার সান্টোকিকে ২টি চার মেরেছেন। পরের ওভারেই নাঈম হাসানকে চারের পর ছয়। তৃতীয় ওভারে বয়সভিত্তিক দলের সঙ্গী নাজমুল হোসেনও তাঁর সঙ্গে বাউন্ডারি উৎসবে যোগ দিয়েছেন। পাওয়ার প্লেতেই এসেছে ৭টি চার ও ২ ছক্কা।

১৫৮ রানের লক্ষ্যে নেমে প্রথম ৬ ওভারে ৬৬ রান পেয়ে গেলে ম্যাচ শেষ হয়ে যায় তখনই। খুলনার দুই ওপেনার মিরাজ ও নাজমুল অবশ্য কাজটা আরও সহজ বানানোর পরিকল্পনায় নেমেছিলেন। দুজনেই রান তুলেছেন দ্রুত। মাত্র ১১তম ওভারে সেঞ্চুরি পেরিয়ে গেছে খুলনা। এবারের বিপিএলে উদ্বোধনী জুটিতে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা মেলার কিছুক্ষণ পর বিদায় নিয়েছেন নাজমুল। এবাদতের বলে ৩১ বলে ৪১ রানের ইনিংসটি শেষ হয়েছে। মিরাজ অবশ্য পথ হারাননি। ৬২ বলে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৭ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে তবে মাঠ ছেড়েছেন।

এর আগে সিলেটের ব্যাটিংয়ের দুই ভরসা আজ জ্বলে উঠতে পারেননি। জনসন চার্লস ১২ বলে ১৭ রান করে ফিরেছেন। ওপেনার ফ্লেচার ৯ ওভারের উদ্বোধনী জুটিতে ৬২ রান এনে দিয়ে বিদায় নিয়েছেন। ২৪ বলে ৩৭ রান নিয়ে ফ্লেচার ভালোই সমস্যা সৃষ্টি করছিলেন, কিন্তু ঝামেলা বাধিয়েছে অন্য প্রান্ত। তাঁর ওপেনিং সঙ্গী রুবেল মিয়া কোনোভাবেই রানের গতি বাড়াতে পারছিলেন না। ১৪তম ওভারে দলকে এক শ পার করে রুবেল যখন ফিরছেন, তখন তাঁর রান ৩৯। সেটাও ৪৪ বলে! শেষ দিকে রাদারফোর্ডের ২৬ ও মোসাদ্দেকের ২৩ রানেও প্রয়োজনীয় আগ্রাসন না থাকায় ১৫৭ রানের বেশি নিতে পারেনি সিলেট।