মুশফিক ফিরলেও ফিফটি মুমিনুলের

মুশফিক ফিরলেও মুমিনুল আছেন ক্রিজে।ছবি: শামসুল হক।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের এ উইকেটে জয়ের জন্য আড়াই শ রানের পুঁজিকে যথেষ্ট বলে মনে করেন তাইজুল ইসলাম। তবে বাংলাদেশ ৩০০–৩৫০ রানের আশপাশে জয়ের লক্ষ্য দিতে চায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। চট্টগ্রাম টেস্টে আজ চতুর্থ দিনে সকালে ব্যাট করতে নেমে সে লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

৩ উইকেটে ৪৭ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল বাংলাদেশ। উইকেটে ছিলেন অধিনায়ক মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। আজ সকালে প্রথম সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুজন। জমাট ব্যাটিং করছিলেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।

কিন্তু কর্নওয়ালের নিচু হয়ে আসা একটি বলে এলবিডব্লু হয়ে ফিরেছেন মুশফিক। রিভিউ নিয়েও রক্ষা পাননি। ৪৭ বলে ১৮ রান করে ফেরেন তিনি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪ উইকেটে ১১৫ রান তুলেছে বাংলাদেশ। লিড–এর মধ্যে ২৮৭। ফিফটি তুলে নেন মুমিনুল। ১০৩ বলে ৬৬ রানে ব্যাট করছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গী লিটন দাস (২৪*।

আগের দিন শেষ সেশনে যেখানে থেমেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আজ শুরুটা সেখান থেকেই করেছে তারা। কাল শেষ দিকে এক প্রান্ত থেকে রাকিম কর্নওয়ালের স্পিন এবং অন্য প্রান্ত থেকে শ্যানন গ্যাব্রিয়েল আগুনের গোলা ছুড়েছেন।

আজও দুই প্রান্ত থেকে এ দুই বোলারকে দিয়ে বোলিং শুরু করিয়েছেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ক্রেগ ব্রাফেট। গ্যাব্রিয়েল কালকের মতোই মুমিনুলের ব্যাটিংয়ের সময় তাঁর শরীর তাক করে বাউন্সার মারার চেষ্টা করছেন। লেগ গালি ও শর্ট লেগে ফিল্ডার রাখায় গ্যাব্রিয়েলের উদ্দেশ্য পরিষ্কার।

আউট হয়ে ফিরছেন মুশফিক।
ছবি: প্রথম আলো

রাউন্ড দ্য উইকেট এসে মারা গ্যাব্রিয়েলের বাউন্সারগুলো অবশ্য দক্ষতার সঙ্গেই মোকাবিলা করছেন মুমিনুল। বলা ভালো, খেলছেন ঠান্ডা মাথায়। কোনো তাড়াহুড়া না করে বলের মেধা যাচাই করে ব্যাট করছেন তিনি। মুশফিকের সঙ্গে ৯১ বলে ৪০ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল। এখন তাঁর সঙ্গে ব্যাট করছেন লিটন দাস।

কর্নওয়াল–গ্যাব্রিয়েলকে দিয়ে তিনটি করে ওভার করিয়ে তাই কোনো লাভ হয়নি ব্রাফেটের। এরপর এক প্রান্ত থেকে কেমার রোচকে আক্রমণে এনেছেন তিনি।

কাল তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ক্রিকইনফোকে তাইজুল বলেন, ‘আমার মনে হয় আড়াই শ এই উইকেটে যথেষ্ট। তবে (কাল) প্রথম সেশনে যেমন বল করেছি, তেমন বল করলে কাজটা কঠিন হবে। আমাদের বোলিং ভালো করতে হবে, যেমনটা আমরা পরে করতে পেরেছি। আমার মনে হয় ৩০০–৩৫০ রানের লক্ষ্য দিতে হবে।’