মুশফিকের ফিফটির পর সাইফউদ্দিনের পাঁচ

ফিফটি তুলে নিয়ে আরেকটি সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েছিলেন মুশফিকছবি: প্রথম আলো

শুরুতে সুইং, মাঝের ওভারে লেংথ থেকে গতি পরিবর্তন ও শেষ দিকে ইয়র্কার—মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন আজ ম্যাচের তিন ধাপে তিন ধরনের বোলিং দিয়ে নিলেন বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের প্রথম ৫ উইকেট। তাঁর দুর্দান্ত বোলিংয়ে তামিম একাদশ নাজমুল একাদশকে আটকে ফেলে ১৬৫ রানে। বৃষ্টির কারণে ৪১ ওভারে কমিয়ে আনা ম্যাচে তামিমদের জিততে দরকার ১৬৪ রান।

রানটা এত হতো না, যদি না মাঝের ওভারে নাজমুলদের দুই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও আফিফ হোসেন জুটি বাঁধতেন। আগের ম্যাচেও মাহমুদউল্লাহ একাদশের বিপক্ষে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার পর এই জুটিই নাজমুলদের ম্যাচ জিতিয়েছিলেন।

ম্যাচের তিন ধাপে তিন ধরনের বোলিং করে সাফল্যের মুখ দেখেছেন সাইফউদ্দিন
ছবি: প্রথম আলো

আজও নাজমুল একাদশের মান রক্ষা করে মুশফিক-আফিফ জুটি। ২৫ রানে সৌম্য সরকার, পারভেজ হোসেন ও নাজমুল হোসেন সাজঘরে ফিরে গেলে আফিফকে নিয়ে হাল ধরেন মুশফিক। দুই রকম গতির উইকেটে বাজে বলগুলো বাউন্ডারি ছাড়া করেছেন দুজনই। ডানহাতি-বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ক্রিজে থাকায় এক-দুই নিতেও বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন আফিফরা। দুজনই উইকেটে জমে গিয়ে ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন বড় ইনিংসের।

বৃষ্টি বিরতির পর ২৯তম ওভারে ফিফটি পূর্ণ করে আরেকটি সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু সাইফউদ্দিনের লেংথ বলে পুল করতে গিয়ে মুশফিক ক্যাচ দেন থার্ড ম্যানে। সামনের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত ক্যাচটা নেন দীর্ঘদেহী পেসার শরিফুল ইসলাম। ৭৫ বলে ৫১ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে।

দুই ওভার পর বড় ভুলটা করে বসেন আফিফ। মেহেদীর অফ স্পিনে রিভার্স স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড। ৬১ বলে ৪০ রান করে থামে আফিফের ইনিংস। এরপর বাকি ব্যাটসম্যানরা দাঁড়াতে পারেনি সাইফউদ্দিন-মোস্তাফিজদের সামনে।

বৃষ্টিতে বন্ধ ছিল খেলা
ছবি: প্রথম আলো

ইরফান শুক্কুর ভালো খেলছিলেন। কিন্তু মোস্তাফিজকে স্কুপে ছক্কা মেরেও আউট হন পা দিয়ে স্টাম্প ভেঙে। তৌহিদ, নাসুম ও রিশাদদের দাঁড়াতেই দেননি তামিম একাদশের বোলাররা। ১২৯ রানে পাঁচ উইকেট হারানো নাজমুল একাদশ শেষ পর্যন্ত ৩৯.৩ ওভারে অলআউট হয় ১৬৫ রানে।

বৃষ্টি আইনে জয়ের জন্য তামিমদের দরকার ১৬৪ রান। ২৩ অক্টোবরের ফাইনালে খেলতে হলে এ ম্যাচে নাজমুলদের হারাতে হবে তামিম একাদশকে। অন্যদিকে নাজমুল একাদশ যদি হারেও, নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে ফাইনাল খেলবে তারাই।