‘মোদি থাকতে’ ভারত-পাকিস্তান সিরিজ দেখেন না আফ্রিদি

টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তান অন্যতম শক্তিশালী দলগুলোর একটি। অথচ আইপিএলে নেই পাকিস্তানের কোনো ক্রিকেটার। অবাক হওয়ারও কিছু নেই। ভারত-পাকিস্তানের বৈরী রাজনৈতিক সম্পর্কই পেছনের কারণ। শহীদ আফ্রিদি মনে করেন, তাতে ক্ষতিটা পাকিস্তানের ক্রিকেটারদেরই। আইপিএলে না খেলে তারা বড় সুযোগ হারাচ্ছে।

পাকিস্তানের সাবেক এ অধিনায়ক আরও মনে করেন, নরেন্দ্র মোদি সরকার ভারতের ক্ষমতায় থাকতে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ পুনরায় চালুর কোনো সম্ভাবনা নেই।

আরব নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের সাবেক এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ক্রিকেট বিশ্বে আইপিএলে অনেক বড় ব্র্যান্ড। বাবর আজম এবং অন্যান্য পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের জন্য এটা বড় সুযোগ, সেখানে গিয়ে ড্রেসিং রুম ভাগাভাগি করে নেওয়ার। আমার মতে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা এ সুযোগ হারাচ্ছে।’ ২০০৮ সালে চালু হয় আইপিএল। প্রথম সংস্করণে শহীদ আফ্রিদি, শোয়েব আখতার, মিসবাহ উল হক, কামরান আকমলরা খেলেছিলেন। কিন্তু সে বছর মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে সন্ত্রাসী হামলার পর কপাল পোড়ে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের। ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক সম্পর্ক চরম তিক্ততায় রূপ নেওয়ায় আইপিএলে ব্রাত্য হয়ে পড়েন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। তা চলছে আজও। এমনকি দ্বিপক্ষীয় সিরিজেও মুখোমুখি হয়নি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ। লড়াই বলতে শুধু আইসিসির টুর্নামেন্টে।

সাক্ষাৎকারে ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন আফ্রিদি
ছবি: টুইটার

দ্বিপক্ষীয় সিরিজের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে আফ্রিদি বলেন, ‘পাকিস্তান সরকার তো প্রস্তুত। কিন্তু (ভারতে) বর্তমান শাসনামলে সে (ক্রিকেটীয় সম্পর্ক পুনরায় শুরুর) সুযোগ নেই (ভারত-পাকিস্তানের) সিরিজ চালুর। নরেন্দ্র মোদির সরকার ক্ষমতায় থাকতে আমার মনে হয় না এটা হবে।’ ভারতে আফ্রিদি বেশ জনপ্রিয়। সেখানকার ক্রিকেটপ্রেমীদের অনেকেই পছন্দ করেন আফ্রিদিকে। এ নিয়ে ৪৫ বছর বয়সী সাবেক ক্রিকেটার জানিয়েছেন, সেটি তিনি উপভোগই করেন, ‘ভালোবাসা তো ভালোবাসাই। কোনো সন্দেহ নেই ভারতে ক্রিকেট উপভোগ করেছি। ভারতীয়দের কাছ থেকে পাওয়া ভালোবাসাকে আমি সম্মান করি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা বলার সময় এখন ভারতীয়দের কাছ থেকে অনেক বার্তা পাই, তার উত্তরও দিই। ভারতে আমার অভিজ্ঞতা খুব ভালো বলেই মনে করি।’

করোনাভাইরাসের কারণে এবার আইপিএল দেরিতে শুরু হয়েছে। সেটিও হচ্ছে ভারত থেকে দূরে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে। আফ্রিদি নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এখন তিনি সুস্থ। অবসর নেওয়ার পর তিনি ক্রিকেট ছাড়াও নানা বিষয়ে কথা বলে থাকেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়ই বিভিন্ন মন্তব্য করে আলোচিত পাকিস্তানের এই সাবেক তারকা ক্রিকেটার।