মোস্তাফিজকে ছাড়াই সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে নামবে বাংলাদেশ

মোস্তাফিজুর রহমানএএফপি

বেশি দিন আগের কথা না। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে কী দারুণ বোলিংটাই না করলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের শুরুতে সুইং ও সিম মুভমেন্টে ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য বল ভেতরে এনেছেন। আঘাত করেছেন ব্যাটসম্যানদের প্যাড, স্টাম্পে। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সেই তিন ম্যাচের ওয়ানডেতে ৬ উইকেট আর মিতব্যয়ী বোলিংয়ে মোস্তাফিজের নিজেকে বদলে ফেলার যথেষ্ট ছাপ ছিল।

মোস্তাফিজুর রহমান
এএফপি


আশা ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও মোস্তাফিজ একই পারফরম্যান্স ধরে রাখবেন। কিন্তু হলো উল্টোটা। তিন ওয়ানডে ও এক টি-টোয়েন্টি মিলে মোস্তাফিজ নিয়েছেন মাত্র ৩ উইকেট। রান দিয়েছেন অনেক। পাননি সুইং কিংবা সিম মুভমেন্ট। নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে কাটারও তেমন কার্যকর নয়। নিষ্প্রভ মোস্তাফিজে ভুগেছে বাংলাদেশও। বোলিং আক্রমণের পরিকল্পনার ছক যে সম্পূর্ণটাই মোস্তাফিজকে ঘিরে আঁকা।

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথমটা হেরে এমনিতেই পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। আগামীকাল নেপিয়ারে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলের পরিকল্পনায় কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে। সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে মোস্তাফিজকে একাদশের বাইরে রাখা হতে পারে, খেলতে পারেন ওয়ানডে সিরিজে দারুণ বোলিং করা তাসকিন আহমেদ। আপাতত, মোস্তাফিজের বাজে ফর্ম একাদশ থেকে ছিটকে যাওয়ার একটা কারণ বলেই মনে হচ্ছে। আবার টানা ম্যাচ থাকায় পেসারদের বিশ্রাম দিয়ে খেলানোর পরিকল্পনাও হতে পারে এটা। প্রথম ম্যাচে যেমন বিশ্রামে ছিলেন তাসকিন।

তাসকিন ও মোস্তাফিজ
এএফপি

আপাতত, মোস্তাফিজের বাজে ফর্ম একাদশ থেকে ছিটকে যাওয়ার একটা কারণ বলেই মনে হচ্ছে। আবার টানা ম্যাচ থাকায় পেসারদের বিশ্রাম দিয়ে খেলানোর পরিকল্পনাও হতে পারে এটা। প্রথম ম্যাচে যেমন বিশ্রামে ছিলেন তাসকিন।

ওদিকে চোটের কারণে আগামীকালের ম্যাচেও মুশফিকুর রহিমের না থাকার সম্ভাবনাই বেশি। এর বাইরে মূল একাদশে তেমন কোনো পরিবর্তনের চিন্তা নেই টিম ম্যানেজমেন্টের। হ্যামিল্টনে প্রথম টি-টোয়েন্টির মতো ইনিংস ওপেন করার কথা মোহাম্মদ নাঈম ও লিটন দাসের। সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, আফিফ হোসেন, মাহমুদউল্লাহ পূরণ করবেন ব্যাটিং অর্ডারের পরের স্থানগুলো। অলরাউন্ডারের দায়িত্বে থাকবেন মেহেদী হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। মেহেদীর অফ স্পিনের সঙ্গে নাসুম আহমেদের বাঁহাতি স্পিন কাজে লাগাতে পারেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। তরুণ পেসার শরিফুল ইসলাম প্রথম ম্যাচে খারাপ করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে তাঁর ওপরই আস্থা রাখছে টিম ম্যানেজমেন্ট।

আগের ম্যাচে অভিষিক্ত নাসুম ভালো বোলিং করেছিলেন। ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। আরেক অভিষিক্ত শরিফুল সীমানায় ক্যাচ ধরতে গিয়ে ভুল না করলে আরও একটি উইকেট পেতেন নাসুম। সেটি হলে হয়তো ম্যাচের ফলটাও ভিন্ন হতে পারত।  দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির ভেন্যু নেপিয়ারে পৌঁছে আজ নাসুম বলছিলেন, ‘ওই সময় কনওয়ের রান ৪৭ ছিল। এরপর করল ৯২। ওই ক্যাচটা হলে হয়তো-বা আরও ২০টা রান কম থাকত। সেখানে আমরা একটু পিছিয়ে গিয়েছি।’
এ ছাড়া নিজের ইকোনমি রেট নিয়েও খুব একটা সন্তুষ্ট মনে হয়নি নাসুমকে, ‘যদি আরও ১০টা রান কম দিতাম তাহলে হয়তো আরেকটু ভালো হতো। নিজেকে আমি সফল মনে করছি না। ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়েছি। এর বদলে ৪ ওভারে যদি ২২ বা ২৫ রান হতো, তাহলে মনে করতাম সফল।’