ম্যাচ বাতিল হওয়ায় ৫০ ভাগ ক্ষতিপূরণ চাইছে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া

অ্যাশেজের অংশ হতে না পেরে ক্ষতিপূরণ চাইছে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটফাইল ছবি: রয়টার্স

একসময় এমন কিছু অকল্পনীয় ছিল। অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাশেজ আর ওয়াকায় খেলা হবে না? কিন্তু ঐতিহাসিক সেই মাঠ থেকে ক্রিকেটকে বেশ কিছুদিন আগেই সরিয়ে নিয়েছে  ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট। এই অঞ্চলের টেস্ট আয়োজনের মর্যাদা এখন পার্থ স্টেডিয়ামের। ওয়াকার উইকেট নিয়ে গল্পগুলো তাই এখন অতীত। পার্থেই হওয়ার কথা ছিল অ্যাশেজের পঞ্চম টেস্ট।

ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া রাজ্যের করোনাসংক্রান্ত কঠোর মেনে সিরিজের পঞ্চম টেস্ট খেলা সম্ভব না দুই দলের। এ কারণে ম্যাচটিই পার্থ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভেন্যু এখনো নিশ্চিত করেনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আকর্ষণের নাম অ্যাশেজ। অনেকের কাছেই বিশ্বকাপের চেয়েও অ্যাশেজ বেশি আকর্ষণীয়। এমন এক সিরিজের ম্যাচ আয়োজন করতে না পারায় ৩০ থেকে ৫০ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার (১৮ থেকে ৩০ কোটি টাকা) ক্ষতির মুখে পড়েছে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট। ক্ষতিপূরণ হিসেবে এর অর্ধেক ফেরত চাইছে রাজ্য ক্রিকেটের প্রধান।

ওয়েস্টার্ন ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী ক্রিস্টিনা ম্যাথুস
ছবি: টুইটার

শুধু ক্রিকেটার নন, সম্প্রচারের সঙ্গে জড়িত সবাইকেই বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন করতে হতো। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার এমন কঠিন নিয়মে ‘হতাশ’ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া নির্বাহী নিক হকলি তাই অ্যাশেজের শেষ ম্যাচের ভেন্যু পরিবর্তনের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের আইনের কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছে রাজ্যের ক্রিকেট বোর্ড। তাই ওয়েস্টার্ন ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী ক্রিস্টিনা ম্যাথুস চাইছেন ভেন্যু নির্ধারণ করার আগে তাঁদের কথাও ভাবতে, ‘আমি জানি না তারা এই টেস্ট কীভাবে আয়োজন করবে, কিন্তু যদি নির্দিষ্ট কোনো ভেন্যুতে এই সিরিজ নিয়ে আর্থিক সুবিধা পাওয়া যায়, তাহলে যা হারিয়েছি তার ক্ষতিপূরণ হিসেবে কিছু ফেরত চাই আমরা। আশা করি অন্তত ৫০ ভাগ ফেরত নিতে পারব।’

৮ ডিসেম্বর শুরু হবে অ্যাশেজ
ফাইল ছবি: রয়টার্স

১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া পঞ্চম টেস্টে আয়োজনের জন্য এর মধ্যেই বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছিল ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট। এখন সে খরচের যতটা পুষিয়ে নেওয়া যায়, সে চিন্তা করছেন ম্যাথুস, ‘আমাদের এখন নিজেদের খরচ কত হয়েছে সেটা দেখতে হবে এবং কীভাবে কিছু অর্থ বাঁচানো যায় সেটা দেখতে হবে। আমি জানি না আমাদের কিছু কর্মসূচি ছেঁটে ফেলতে হবে কি না, এ জন্য। আমি জানি গত দুই বছরে যে ক্ষতি হয়েছে, তাতে আর্থিক দিকটা সবাইকেই ভেবে দেখতে হচ্ছে।’

অ্যাশেজের টেস্ট না পাওয়ায় ভবিষ্যতে যেন তাদের কথা ভাবা হয়, সেটাও বলেছেন ম্যাথুস। আগামী মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়া সফর করবে। তখন যেন ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের পছন্দ অনুযায়ী ম্যাচ দেওয়া হয়, সেটাই চাইছেন ম্যাথুস, ‘আমি ক্ষুব্ধ, কারণ এ নিয়ে টানা দুই বছর আমরা একটা টেস্ট পেলাম না। কিন্তু এখানে কাউকে দোষ দেওয়ার উপায় নেই, তাই বিষয়টা মেনে নেওয়া আরও কঠিন।’