ম্যাচের মধ্যেই আম্পায়ারিং ভুলে গেলেন তিনি

লুইস গ্রেগরির (ডানে) ওভারেই ঘটেছে সে ঘটনা।ছবি: টুইটার

বিগ ব্যাশে বাজে আম্পায়ারিংয়ের ঘটনা যেন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপারে হয়ে গেছে। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই আম্পায়ারিং নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। আজও বাদ গেল না। ব্রিসবেন হিট ও হোবার্ট হারিকেনসের আজকের ম্যাচে আম্পায়ার ফ্রি হিটে আউট দিয়ে দিলেন ব্যাটসম্যানকে!

ব্রিসবেন হিটের ইংলিশ অলরাউন্ডার লুইস গ্রেগরি ইনিংসের শেষ ওভারে বল করছিলেন। প্রথম বলটি কোমর উঁচুতে করে নো বলের সঙ্গে ফ্রি হিটের শাস্তি পেতে হয় তাঁকে। হোবার্ট ব্যাটসম্যান উইল পারকার ফ্রি হিটের বলে চার–ছক্কা মারার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু গ্রেগরি দারুণ বাউন্সার করায় পারকার হন কট বিহাইন্ড। ফ্রি হিট হওয়ায় রক্ষা পারকারের।

হেরে গেছে হোবার্ট।
ছবি: টুইটার

কিন্তু এরপর যা হলো তা অবিশ্বাস্য। পুরো মাঠভর্তি দর্শক ও ক্রিকেটারদের অবাক করে আঙুল তুলে পারকারকে আউট দেন আম্পায়ার টনি উইল্ডস! ধারাভাষ্যে থাকা সাবেক অস্ট্রেলীয় তারকা অ্যাড্রু সাইমন্ডস বলেন, ‘এটা ফ্রি হিট ছিল, তাই না? এটা কী হলো!’
আরেক সাবেক তারকা মাইক হাসি আম্পায়ারের ভুল দেখে হাসি থামাতে পারছিলেন না। মজা করে তিনি বলেন, ‘আম্পায়ার হয়তো ওভারে এক বাউন্সের ইঙ্গিত দিয়েছেন। এইটুকু সুবিধা তাঁকে দেওয়া হোক।’ নিজের ভুল বুঝতে উইল্ডসের কিছুক্ষণ সময় লাগে।

একই ম্যাচে আম্পায়ার উইল্ডস দ্বিতীয়বার ভুল করে বসেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করছিল ব্রিসবেন হিট। হারিকেনস বোলার নাথান এলিসের বলে টম কুপারের নিশ্চিত এলবিডব্লিউ দেননি। পরে টিভি রিপ্লে দেখা যায়, এলিসের বলটি লেংথ থেকে সরাসরি আঘাত হানত কুপারের লেগ স্টাম্পে।

আজ দারুণ এক ক্যাচ ধরেছেন শর্ট।
ছবি: টুইটার

ধারাভাষ্যে সাইমন্ডস আম্পায়ারের ভুল সমাধানের উপায় বাতলে দেন। ডিআরএস বেশ খরুচে। তাই বিগ ব্যাশে ডিআরএস প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় না। তবে টিভি ক্যামেরা দিয়েই ভুল সিদ্ধান্ত ঠিক করা সম্ভব, ‘যে প্রযুক্তি আছে, তা দিয়েই আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আমাদের ডিআরএসের দরকার নেই। এটা খুব খরুচে। এমন ভুল এড়াতে এটা করাই যায়। চিন্তা করুন, এমন ঘটনা যদি ফাইনালে ঘটে?’

দুদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারও একই কথা বলেছেন। যে প্রযুক্তি আছে, সেটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাধারণ বোধের অভাব দেখছেন তিনি, ‘যেটা নিশ্চিত, সেটা তো নিশ্চিতই। আম্পায়ারদের কানে হেডফোন আছে। প্রযুক্তি আছে। তাঁরা তাঁদের সিদ্ধান্ত চাইলে বদলাতে পারেন। যা হচ্ছে সবই তো সবাই দেখছে। এটা সাধারণ বোধের ব্যাপার। এইটুকু করলেই অনেক সমস্যার সমাধান হয়।’