যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটে টাকা ঢালছেন শাহরুখ

যুক্তরাস্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেটে নজর পড়েছে বলিউড কিংবদন্তি শাহরুখ খানেরছবি: টুইটার

আইপিএলের পর এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগে দেখা যাবে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেটে দল কিনতে যাচ্ছেন শাহরুখ খান। ২০২২ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চালু হওয়ার কথা এই ক্রিকেট লিগ।

এর আগে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও দল কিনেছে শাহরুখ খানের প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্রে নাইট রাইডার্সের দল থাকার পাশাপাশি লিগ সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের জন্য পরামর্শক হিসেবেও কাজ করবে শাহরুখ খানের কোম্পানি।

নাইট রাইডার্সের প্রধান নির্বাহী ভেঙ্কি মাইসোর জানিয়েছেন, ছয়টি দল থাকবে এমএলসিতে। এ ছাড়া আইপিএল বা সিপিএলে যেমন শুধু দল চালানোর কাজ থাকে, এখানে পুরো লিগেই তাদের অংশীদারত্ব থাকবে।

১৫ থেকে ২০ মিলিয়ন ডলার অর্থ এখানে বিনিয়োগ করতে পারে নাইট রাইডার্স। নাইট রাইডার্সরা লস অ্যাঞ্জেলেসের ফ্র্যাঞ্চাইজি কিনতে পারে।

হলিউডের ঠিকানা লস অ্যাঞ্জেলেস। স্বাভাবিকভাবেই সেখানেও শাহরুখ খান তাঁর জনপ্রিয়তা কাজে লাগাতে পারবেন।

কেকেআরের মালিক শাহরুখ খান এই লিগ নিয়ে ভীষণ আশাবাদী, ‘অনেক বছর ধরেই আমরা কেকেআর ব্র্যান্ডটিকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যাওয়া শুরু করেছি। আমরা লক্ষ্য করেছি, যুক্তরাষ্ট্রেও টি–টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগ নিয়ে উত্তেজনা আছে। আমাদের বিশ্বাস, সেখানে আমরা সাফল্য পাব।’

কেকেআর মালিক শাহরুখ খান মেজর লিগ ক্রিকেট নিয়ে ভীষণ আশাবাদী
ছবি: টুইটার

ভেঙ্কি মাইসোরও যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেটচর্চা নিয়ে আশার আলো দেখছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেট প্রথম সারির খেলা নয়। কিন্তু ক্রিকেটের প্রতি সেখানে যে ভালোবাসা রয়েছে, তাতে ভারতের পর বাণিজ্যিকভাবে ক্রিকেটের দ্বিতীয় কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে দেশটি।’

আমেরিকান ক্রিকেট এন্টারপ্রাইজেস (এসিই) এই লিগের জন্য প্রথমে নাইট রাইডার্সকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেট জনপ্রিয় করতে অনেক পরিকল্পনা আছে সে দেশের বোর্ডের। সেই কারণেই নাইট রাইডার্সের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চায় সংস্থাটি।

আইপিএলে কেকেআর মালিক হিসেবে সাফল্য পেয়েছেন শাহরুখ
ছবি: টুইটার

মাইসোরের মতে, ক্রিকেটের বিশ্বজনীন জনপ্রিয়তা, যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়া বাজার ও সেখানে খেলার যে সংস্কৃতি আছে, এই সবকিছু মিলেই সফল কিছু হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার ক্রিকেট লিগ চালু করার চেষ্টা হয়েছে।

কিন্তু তেমন সাফল্য আসেনি। বরং বিভিন্ন আইনি জটিলতায় ক্রিকেট বারবার পিছিয়ে গেছে। আপাতত তিনটি মাঠে খেলা দিয়ে শুরু হবে লিগ।

ধাপে ধাপে ছয়টি শহরে এ টুর্নামেন্ট করার পরিকল্পনা আছে। প্রাথমিকভাবে মূলত বিদেশিরা খেললেও ধীরে ধীরে স্থানীয় খেলোয়াড়ের সংখ্যা বাড়বে বলে আশা ভেঙ্কি মাইসোরের।