যে ছবিতে ‘রাহুল’ থাকে, তা তো সুপারহিট হবেই

‘রাহুল’ নামটি শাহরুখ খানের খুব প্রিয় । আর তা হওয়াই স্বাভাবিক। সুপারহিট হওয়া অনেক ছবিতেই তো শাহরুখ ‘রাহুল’ হয়ে মানুষের মন জয় করেছেন। আজ থেকে ২২ বছর আগে বক্স অফিসে তোলপাড় ফেলে দেওয়া সেই ছবি ‘কুচ কুচ হোতা হ্যায়’এর সেই ‘রাহুল’কে হয়তো কখনোই ভুলবে না সিনেমাপ্রিয়রা। এই রাহুল নাম নিয়েই ১৯৯৭ সালে ‘দিল তো পাগল হ্যায়’ ছবিতে স্ক্রিন কাঁপিয়েছেন শাহরুখ। গতকাল কলকাতা নাইট রাইডার্স আর চেন্নাই সুপার কিংসের ম্যাচের পর তিনি যেন হারিয়ে গেলেন সেই দিনগুলিতে।

চেন্নাইয়ের বিপক্ষে কাল কলকাতার জয়ে এক রাহুলের দারুণ ভূমিকা। রাহুল ত্রিপাঠীর ৫১ বলে ৮১ রানের ওপর ভর করেই চেন্নাই সুপারকিংসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল কলকাতা। পরে অবশ্য দলের জয়ে বড় ভূমিকা বোলারদেরই। কিন্তু কেকেআরের অন্যতম মালিক বলিউড অভিনেতার মন জয় করে নিয়েছেন সেই ‘রাহুল’—রাহুল ত্রিপাঠী। মোটামুটি অখ্যাত এই ভারতীয় ক্রিকেটারই গতকাল স্বাদ পেয়েছেন তারকাখ্যাতির।

আগের ম্যাচেই দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ১৬ বলে ৩৬ রানের সংক্ষিপ্ত কিন্তু দারুণ ইনিংস খেলে সবার দৃষ্টি কেড়েছিলেন। গত সন্ধ্যায় তাই কলকাতা তাঁর ওপর ভরসা রাখল। এবার আর নিচে নয়, তাঁর প্রিয় টপ অর্ডারেই জায়গা হলো। শুভমন গিলের সঙ্গে তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হলো ইনিংসের শুরু করতে। ভাগ্যিস পাঠানো হয়েছিল, তাঁর ৮১ রান ছাড়া যে কলকাতার ইনিংস বলার মতো তেমন কিছুই নেই। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান যৌথভাবে ১৭—সুনীল নারাইন আর প্যাট কামিন্সের।

১৬৮ রানের লক্ষ্যে চেন্নাইয়ের জয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু সেটি হয়নি। কলকাতার বোলারদের সামনে পথ হারিয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। ১৫৭ রানে তাদের থামিয়ে দিয়ে ১০ রানের দারুণ এক জয় তুলে নেওয়ার পর দলের খেলোয়াড়দের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন শাহরুখ। তবে সেটি অবশ্যই তাঁর মতো করেই।

টুইটারে উচ্ছ্বসিত শাহরুখ বোলারদের কৃতিত্ব দিয়েছেন। তবে রাহুল ত্রিপাঠীর প্রশংসা করতে গিয়ে ফিরে গেছেন ২৩ বছর আগে ব্লকব্লাস্টার ছবি ‘দিল তো পাগল হ্যায়’-তে। সেই ছবির বিখ্যাত এক সংলাপ তুলে ধরে তিনি ত্রিপাঠীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন—‘নাম তো সুনা থা...কাম উসসে ভি কামাল হ্যায়’।

শাহরুখের এমন বার্তার পর কলকাতা তাদের টুইটার হ্যান্ডেলে দারুণ এক মন্তব্য করেছে। সেখানে রাহুল ত্রিপাঠীর একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশন দেওয়া হয়েছে—‘যে ছবিতে “রাহুল” থাকে, সে ছবি তো হিট হবেই।’

‘রাহুল’ নামটি যে কত পয়া, সেটি কাল শাহরুখ আবার বুঝতে পারলেন, ঠিক তেমনি বুঝেছিলেন দুই দশক আগেও।