যেভাবে বদলে গেল ভারতের পেস আক্রমণ

ভারতের পেসার উমেশ যাদব। ছবি: উমেশ যাদবের টুইটার পেজ
ভারতের পেসার উমেশ যাদব। ছবি: উমেশ যাদবের টুইটার পেজ
>ভারতীয় পেসারদের বদলে যাওয়ার রহস্য ভাঙলেন উমেশ যাদব। শেষ চার টেস্টে দুর্দান্ত বল করেছেন এ পেসার

ঘরে কিংবা ঘরের বাইরে গত কয়েক বছরে আশ্চর্য উত্থান ঘটেছে ভারতীয় পেসারদের। প্রতিপক্ষের মাঠ এবং ঘরের মাঠে স্পিনবান্ধব কন্ডিশনেও নিয়মিত উইকেট পাচ্ছেন বুমরা-ইশান্ত-শামিরা। আগে এমন ছবি কমই দেখা গেছে। সবশেষ বাংলাদেশের বিপক্ষে কলকাতা টেস্টেও ১৯ উইকেট নিয়েছে স্বাগতিক দলের পেসাররা। স্পিনাররা ছিলেন উইকেটশূন্য।

এক দশক আগেও কিন্তু দৃশ্যটা এমন ছিল না। ঘরের মাঠে স্পিনারদেরই বেশি প্রাধান্য দিয়ে এসেছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু যশপ্রীত বুমরা, ইশান্ত শর্মা, মোহাম্মদ শামি, উমেশ যাদব এবং ভুবনেশ্বর কুমাররা এসে পাল্টে দিয়েছেন দৃশ্যপট। এখন বোলিংয়ে ভারতের পরিকল্পনা আবর্তিত হয় পেসারদের ঘিরে। কী রহস্য এই বদলে যাওয়ার?

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’কে এ বিষয় নিয়ে বলেছেন উমেশ যাদব। তাঁর ভাষায়, অতীতে ‘স্পিনারদের জন্য বলটা রুক্ষ বানানোই ছিল পেসারদের দায়িত্ব।’ কিন্তু এখন উইকেট নেওয়ার কাজটা তাঁরা নিজেদের কাঁধেই তুলে নিয়েছেন। উমেশের ব্যাখ্যা, ‘ফাস্ট বোলাররা সাধারণত নতুন বলে বল করে থাকে এবং রিভার্স সুইং হলে তাদের শেষ দিকে আনা হয়ে থাকে। আমাদের কাজ ছিল বলটা স্পিনারদের জন্য রুক্ষ বানানো। একঝাঁক ফাস্ট বোলার বেরিয়ে আসার পর আমরা পাঁচজন মিলে সিদ্ধান্ত নেই শুধু স্পিনারদের জন্য বল বানিয়ে দেওয়াই আমাদের কাজ নয়। আমরা উইকেট নেওয়া নিয়ে ভেবেছি। এটাই হাতে নতুন বল পাওয়া নিশ্চিত করেছে।’

ভারতের পেসাররা ঘরের মাঠেও ধারাবাহিকতার জন্য প্রশংসিত হচ্ছেন ক্রিকেট মহলে। এর পেছনে স্পোর্টিং উইকেট বানানোর ভূমিকাও দেখছেন ৩২ বছর বয়সী এ পেসার, ‘লোকে ফাস্ট বোলারদের নিয়ে কথা বললে ভালো লাগে। ঘরের মাঠে খেললে আগে লোকে স্পিনারদের নিয়ে কথা বলত। ভাবা হতো, দ্রুতই উইকেটে বাঁক পাওয়া যাবে। কিন্তু এখন সবাই আমাদের সারা দিন বল করার মতো বোলার হিসেবেই মনে করে থাকে।’

দেশের জার্সিতে এরই মধ্যে ৪৫ টেস্ট খেলেছেন উমেশ যাদব। সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত সাফল্য পাচ্ছেন এ পেসার। শেষ চার ম্যাচে ১৩.৬৫ গড়ে নিয়েছেন ২৩ উইকেট। তাঁর বোলিংয়ে সবচেয়ে বেশি উন্নতি হয়েছে স্ট্রাইক রেটে। এই চার টেস্টের মধ্যে প্রতি ২৩.১টি ডেলিভারিতে ১টি করে উইকেট নিয়েছেন যেখানে আগের স্ট্রাইক রেট ছিল ৫০.৬।