রশিদ খানের জাদুতে এলোমেলো পাঞ্জাব

পাঞ্জাবের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন রশিদ খান
ছবি: আইপিএল

নিকোলাস পুরান তো ভয়ই ধরিয়ে দিয়েছিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে! হায়দরাবাদের ১৮ বছর বয়সী লেগ স্পিনার আব্দুল সামাদকে যেভাবে পিটিয়ে ছাতু করলেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান, বড় লক্ষ্যটা অনতিক্রম্য মনে হচ্ছিল না তখন। সামাদের করা নবম ওভারে পুরান নিলেন ৬,৪,৬,৬,৬-২৮ রান! করলেন মৌসুমের সবচেয়ে দ্রুততম ফিফটি। পুরান-ঝড়ের পরও ম্যাচ জেতা দূরে থাক, পাঞ্জাব খুব একটা প্রতিদ্বিন্দ্বিতাও গড়ে তুলতে পারেনি। দুবাইয়ে হায়দরাবাদের কাছে তাঁরা হেরেছেন ৬৯ রানের বড় ব্যবধানে।

নিকোলাস পুরান ঝড় তুলেও পারেননি পাঞ্জাবকে জেতাতে
ছবি: আইপিএল

টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলা পাঞ্জাবের দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল (১১) আর মায়াঙ্ক আগারওয়াল (৯) দ্রুত ফিরে যাওয়ার পরও পাঞ্জাব যা একটু ম্যাচ ফিরেছিল, সেটি পুরানের সৌজন্যেই। এই ম্যাচেও দেখা গেল তাঁর ‘পাওয়ার হিট’। একেকটা ছক্কা এত জোরে উড়িয়ে মারেন প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের হা করে তাকিয়ে দেখা ছাড়া উপায় থাকে না! সামাদকেই যেমন একবার উড়িয়ে মারলেন ১০৫ মিটার দূরে, পরেরটি আরও জোরে-১০৬ মিটার! পুরানের বড় বড় ছক্কায় বড় পর্দায় লেখা হলো-‘বল যেন পাঞ্জাবে গিয়ে পড়েছে!’

পাঞ্জাব যদি স্বপ্ন দেখে পুরান-ঝড়ে, সেটি থামানোর উপায়ও জানা ছিল হায়দরাবাদ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের। তাঁর হাতে যে একজন জাদুকর রশিদ খান আছেন। মাঝের ওভারগুলোয় এমন চাপ দিলেন আফগানিস্তান লেগ স্পিনার, তাতেই নাভিশ্বাস উঠল পাঞ্জাবের। রশিদকে বাউন্ডারি মারা দূরে থাক, তাঁকে খেলার কোনো উপায়ই যেন বের করতে পারছিলেন না পাঞ্জাবের ব্যাটসম্যানরা! তাঁর ২৪ বলের ১৩টিই খেলতে হলো ডট। ভয়ংকর হয়ে ওঠা পুরানকে (৩৭ বলে ৭৭) তো ফেরালেনই, রশিদ পেলেন আরও দুই উইকেট। ৪ ওভার শেষে তাঁর বোলিং বিশ্লেষণী: ১ মেডেনে ১২ রানে ৩ উইকেট। হায়দরাবাদের বড় জয়ে রশিদের দুর্দান্ত বোলিং তো আছেই। প্রিয়ম গার্গের সরাসরি থ্রোয়ে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের (৭) রানআউটও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। ম্যাক্সওয়েল-পুরানের চতুর্থ উইকেটে ২৬ বলে ৪৭ রানের জুটি ভাঙার পরই একেবারে বদলে গেল ম্যাচের ছবি।

শেষ পর্যন্ত সহজ জয়ই পেয়েছে হায়দরাবাদ
ছবি: আইপিএল

তার আগে আজ খেলাটা ছিল ওপেনারদের। পাঞ্জাবের দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল আর মায়াঙ্ক আগরওয়াল এবারের আইপিএলে দারুণ খেলছেন। আর গত আইপিএল থেকেই আবার অবিশ্বাস্য ধারাবাহিক সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও জনি বেয়ারস্টো। শেষ পর্যন্ত এগিয়ে থাকলেন ওয়ার্নার-বেয়ারস্টোই। ১৫.১ ওভারে ওয়ার্নার-বেয়ারস্টোর ওপেনিং জুটি যোগ করে ১৬০ রান। এর মধ্যে ৯৭ রান (৫৫ বল) এসেছে বেয়ারস্টোর ব্যাট থেকে। ৪০ বলে ৫২ রান করেছেন ওয়ার্নার। হায়দরাবাদের ইনিংস থেমেছে ৬ উইকেটে ২০১ রানে। পরে বড় লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে রশিদ খানের জাদুতে এলোমেলো পাঞ্জাব, ১৬.৫ ওভারে ১৩২ রান করে অলআউট তারা।