রাহুলের পর কোহলিদের ভোগালেন হরপ্রীতও

ম্যাচ শেষ দুই দলের শুভেচ্ছা বিনিময়আইপিএল

ব্যাট হাতে লোকেশ রাহুল আগেই ভুগিয়ে গেছেন। তবে তারপরও পাঞ্জাব কিংসের তোলা ১৭৯ রানটা পেরিয়ে যাওয়া অসম্ভব ছিল না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর জন্য। বিশেষ করে দলে যখন বিরাট কোহলি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের মতো মারদাঙ্গা ব্যাটসম্যান। কিন্তু পাঞ্জাবেরও ছিল একজন হরপ্রীত ব্রার। শুরুতে ব্যাট হাতে ১৭ বলে ২৫ রান করা হরপ্রীত বলে তাঁর বাঁহাতি স্পিনে নিয়েছেন ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট। তাঁর তিন শিকারের নাম বিরাট কোহলি, এবি ডি ভিলিয়ার্স ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এরপর এই ম্যাচ জিততে বেঙ্গালুরুর অবিশ্বাস্য কিছু করতে হতো। সেটা তারা পারেনি। থেমে গেছে ৮ উইকেটে ১৪৫ রান করেই। ৩৪ রানে জিতেছে লোকেশ রাহুলের পাঞ্জাব কিংস।

হরপ্রীতের আগে ম্যাচের অর্ধেকটা বলতে গেলে রাহুল-শো। প্রথম ২৭ বলে ২৪ রান, পরের ২৭ বলে ৪৮ রান, শেষ ৫ বলে ১৯ রান—আইপিএলে কাল লোকেশ রাহুলের ইনিংস গড়ার চিত্র। ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট সংস্করণেও কীভাবে ইনিংস গড়তে হয়, ৫৭ বলে ৯১ রানের অপরাজিত ইনিংসে তা দেখালেন পাঞ্জাব কিংস অধিনায়ক। রাহুলের ইনিংসটি সাজানো ৫ ছক্কা ও ৭ চারে। ক্রিস গেইলের ২৪ বলে ৪৬ রানের ইনিংসে ২ ছক্কা ও ৬ চার। শেষ দিকে রাহুলের সঙ্গে ব্যাট হাতেও ঝড় তোলেন হরপ্রীত ব্রার, দুজন মিলে গড়েন ৩২ বলে ৬১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি।

১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট ম্যাচ সেরা হরপ্রীত ব্রারের
আইপিএল


তাড়া করতে নামা বেঙ্গালুরুর ইনিংস আসলে ধসিয়ে দিয়েছেন হরপ্রীত ব্রারই। বিরাট কোহলির ৩৪ বলে ৩৫ রানের ইনিংস ছাড়া আর বলার মতো শেষ দিকে হার্শাল প্যাটেলের ১৩ বলে ৩১। তিন নম্বরে নামা রজত পাতিদারও ৩১ রান করেছেন, তবে বল খেলেছেন ৩০টি। এই তিনজন ছাড়া দুই অঙ্কে যেতে পেরেছেন শুধু কাইল জেমিসন, ১১ বলে ১৬ রান তাঁর।
এ দিয়ে কী আর ১৮০ রান হয়!