রিজওয়ানের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের জয়

অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে পাকিস্তানকে জিতিয়েছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।ছবি: এএফপি

করোনাভাইরাসের বিরতি কাটিয়ে ক্রিকেট ফেরার পর পাকিস্তানের শুরুটা খুব একটা ভালো ছিল না। ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড থেকে টেস্ট সিরিজ হেরে এসেছে। নিউজিল্যান্ডে তারা হেরেছিল টি–টোয়েন্টি সিরিজও। সব মিলিয়ে কোচ মিসবাহ–উল হক একটু চাপেই পড়ে গিয়েছিলেন। দেশটির সাবেক ক্রিকেটারসহ অনেকেই মুণ্ডুপাত করতে শুরু করে দিয়েছিলেন তাঁর। কিন্তু দেশের মাটিতে ফিরেই দলটি যেন আহত বাঘের মতো ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

দুই টেস্টের সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ধবলধোলাই করে স্বস্তি ফিরেছে পাকিস্তান দলে। ধড়ে যেন প্রাণ ফিরে এসেছে কোচ মিসবাহরও। টেস্ট সিরিজের পর টি–টোয়েন্টি সিরিজটাও দুর্দান্তভাবে শুরু করল মিসবাহর দল। লাহোরে কাল সিরিজের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩ রানে হারিয়েছেন বাবর আজম–মোহাম্মদ রিজওয়ানরা।

আরও একটি উইকেট নিয়েছেন পাকিস্তানের স্পিনার উসমান কাদির।
ছবি: এএফপি

প্রথম টি–টোয়েন্টির শুরুটা অবশ্য ভালো করতে পারেনি পাকিস্তান। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় স্বাগতিকেরা। দলের ১ রানে নিজে কোনো রান না করেই আউট হয়ে ফেরেন অধিনায়ক বাবর আজম। এরপরও পাকিস্তান যে ম্যাচটি জিতল, তা রিজওয়ানের সৌজন্যেই। রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসের পর কাল লাহোরে প্রথম টি–টোয়েন্টিতেও পেলেন সেঞ্চুরি। টেস্টের মতো টি–টোয়েন্টিতেও এটি রিজওয়ানের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি।

রিজওয়ানের অপরাজিত ১০৪ রানের কল্যাণেই ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৯ রান করতে পেরেছে পাকিস্তান। ৬৪ বলের ইনিংসটিতে ৬টি চারের পাশাপাশি তিনি মেরেছেন ৭টি ছয়। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় পাকিস্তানি হিসেবে সেঞ্চুরি পেলেন ৮৯ ও ৯৬ রানে জীবন পাওয়া রিজওয়ান।

দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয়ের স্বপ্ন দেখেয়েছিল ম্যালান ও হেনড্রিকসের জুটি।
ছবি: এএফপি

রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। ৬.৫ ওভারেই উদ্বোধনী জুটিতে ৫৩ রান তুলে জয়ের পথে থাকে তারা। কিন্তু ৮ রানের মধ্যে ইয়ানেমান ম্যালান ও তিন নম্বরে নামা জ্যাকস স্নাইম্যানকে হারিয়ে একটু যেন এলোমেলো হয়ে যায় প্রোটিয়াদের ইনিংস। ২৯ বলে ৮ চার ও এক ছয়ে ৪৪ রান করে ম্যালান আউট হয়েছেন উসমান কাদিরের বলে বোল্ড হয়ে। ২ রান করে স্নাইম্যানও আউট হয়েছেন লেগ স্পিন কিংবদন্তি আবদুল কাদিরের ছেলে উসমান কাদিরের বলে।

এরপরও অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকা জয়ের স্বপ্ন দেখছিল ওপেনার রিজা হেনড্রিকসের ব্যাটের ভরসায়। কিন্তু দলের ১৩৪ রানে তিনি রানআউট হয়ে ফিরলে জয়ের স্বপ্নটা ফিকে হয়ে যায়। এরপর হারিস রউফের বলে আন্দিলে ফিকোয়াও হায়দার আলীকে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে জয়ের আশা অনেকটাই নিভে যেতে বসে। কিন্তু শেষ দিকে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ও বিওর্ন ফোরটুইন আবার আশা জাগিয়ে তোলেন। শেষ ওভারে তাদের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৯ রান। একটি ছয় ও একটি চারে ১৫ রান তুলতে পেরেছে এই জুটি।