রোহিতদের খাওয়ার ভিডিও টুইটারে দিয়ে গালি খাচ্ছেন তিনি

ভারতের খেলা দেখতে নিয়মিত মাঠে যান নবলদীপ (মাঝে)।
ছবি: টুইটার

বেচারা নবলদীপ! প্রিয় তারকাদের খুব কাছে পেয়ে একটু আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন। নিজের মোবাইলে ভিডিও করে রেখেছিলেন রোহিত শর্মা, ঋষভ পন্ত, পৃথ্বী শদের রেস্তোরাঁয় খাওয়ার দৃশ্য। সেই ভিডিও আবার নিজের টুইটারে পোস্টও করেছিলেন। তিনি কি আর তখন জানতেন ওই ভিডিও নিয়ে এত তোলপাড় হবে!

জৈব সুরক্ষা-বলয়কে তোয়াক্কা না করে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়া ভারতীয় দলের পাঁচ ক্রিকেটার রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁদের দেখে ফেলেন ভারতের এক ভক্ত নবলদীপ। প্রিয় তারকাদের খাবারের বিলটাও নাকি তিনিই দিয়েছেন। আবেগে পন্তকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। আর রেস্তোরাঁয় প্রিয় তারকাদের বিভিন্ন দৃশ্য ভিডিও করেন।

পন্ত, গিল ও রোহিতের ছবি তুলে টুইটারে দিয়েছেন নবলদীপ।
ছবি: টুইটার

এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু নবলদীপ ওই ভিডিও টু্ইটারে দেওয়ার পর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বিষয়টি নিয়ে ভারতের ওই পাঁচ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে নিয়ম ভাঙার অভিযোগ আনে। চারদিকে হইচই পড়ে যাওয়ার পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে বলে জানিয়েছে। আপাতত রোহিতসহ ওই পাঁচ ক্রিকেটারকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

ঘটনার পর ভারতের সমর্থকেরা নবলদীপের ওপর বেজায় চটেছেন। রোহিতদের হেনস্তা হওয়া আর আইসোলেশনে যাওয়ার পেছনে নবলদীপেরই দোষ দেখছেন তাঁরা। টুইটারে নবলদীপকেকে ধুয়ে দিচ্ছে ভারতের সমর্থকেরা! ভারতীয় সমর্থকদের এমন আচরণে একটু যেন বিস্মিত নবলদীপ। তোপের মুখে পড়া ভারতের এই ভক্ত টুইটারে লিখেছেন, ‘আমি গালি শুনছি...।’

নবলদীপ পাঞ্জাবের মানুষ। সেটা উল্লেখ করে টুইটারে লিখেছেন, ‘এসব গালি শোনা আমার কাছে কোনো ব্যাপার নয়। আমরা পাঞ্জাবিরা বন্ধুদের মধ্যে এমন ভাষায় অনেক সময়ই কথা বলি।’ তবে একটা কারণে নবলদীপের খুব খারাপ লাগছে। ভারতীয় সমর্থকেরা তাঁকে গালি দেওয়ার পর তিনি উপলদ্ধি করতে পেরেছেন, রেস্তোরাঁয় রোহিতদের ভিডিও করা ঠিক হয়নি তাঁর। আর ভিডিও করলেও সেটি টুইটারে দেওয়া ঠিক হয়নি! এতে যে তাঁর দেশেরই ক্ষতি হয়েছে!

নবলদীপ টু্ইটারে লিখেছেন, ‘সত্যি আমি খুব দুঃখিত যে আমি নিজের দেশেরই ক্ষতি করেছি। ভাইয়েরা, আমি সত্যিই দুঃখিত। এখন শুধু আশা করি সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।’
করোনাভাইরাস মহামারির এই সময়ে ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফরে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নিয়ম অনুযায়ী খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা শুধু মেলবোর্নেই হোটেলের বাইরে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন।