‘রোগে’ ভুগলে মিলারের ‘চিকিৎসক’ আমলা

ডেভিড মিলার ও হাশিম আমলা। দক্ষিণ আফ্রিকা দলে যখন দুজন একসঙ্গে খেলতেনফাইল ছবি: এএফপি

বেশির ভাগ পেশাদার খেলোয়াড় সাম্প্রতিকতম পারফরম্যান্স দিয়ে নিজেদের বিচার করেন।

কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হাশিম আমলার কাছ থেকে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান এবং আমলারই একসময়ের সতীর্থ ডেভিড মিলার একটু অন্য রকম পরামর্শই পেলেন।

ইএসপিএন ক্রিকইনফোর সঙ্গে কথা বলার সময় এ নিয়ে আলোচনা করেন মিলার। শুনুন তাঁর মুখেই, ‘একটি পুরোনো কিন্তু প্রচলিত কথা হলো, আমরা খেলোয়াড়েরা সব সময় নিজেদের শেষ ম্যাচে যেমন খেলেছি, ঠিক তেমন ভালোই মনে করি। কিন্তু আমলা সব সময় আমাকে একটু অন্যভাবে চিন্তা করতে বলেছে। তাঁর মতে, একজন খেলোয়াড় তার পরবর্তী ম্যাচে যত ভালো খেলবে, খেলোয়াড় হিসেবে সে ততই ভালো।’

টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো করতে চান মিলার
ফাইল ছবি: এএফপি

এই চিন্তাই ডেভিড মিলার এবং দক্ষিণ আফ্রিকা দলকে সব সময় বিশ্বাস করতে সাহায্য করেছে যে তারা একসময় আইসিসির একটি বৈশ্বিক ট্রফি জিততে পারবেই। আমলার উপদেশটিকে তাঁরা কীভাবে দেখেন, সেটা উঠে এল ডেভিড মিলারের কথায়, ‘ওর কথার মূল অর্থ হলো মনকে সব সময় শান্ত রাখার চেষ্টা করা এবং সব সময় বর্তমানের মধ্যে থাকা—যা আমাদের পরের ম্যাচে ভালো করার প্রেরণা জোগায়।’

যদিও আমলা ২০১৯ সালেই সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে গত দশকে অনুষ্ঠিত আইসিসির সব বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বর্তমান দলে তাঁর একটি প্রচ্ছন্ন প্রভাব রয়েই গেছে।

মিলার নিজেও যে এর ব্যতিক্রম নন, জানালেন তিনি নিজেই, ‘হাশিম আমলার সঙ্গে এত দিন খেলতে পেরে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি। তার কাছ থেকে যে জিনিসটা আমি সবচেয়ে ভালোভাবে শিখতে পেরেছি, সেটা হলো ব্যর্থতায় কখনো দমে যাওয়া যাবে না। আমরা মাঠে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলার এবং মাঠের বাইরে একজন ভালো ব্যক্তি হয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাওয়ার জন্য আমি হাশিম আমলাকে এত পছন্দ করি। তার শান্ত এবং সৌম্য ব্যক্তিত্ব, অনেক দিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের একটা স্তম্ভ হয়ে থাকা—তাকে প্রতিপক্ষের জন্য নীরব ঘাতকে পরিণত করেছে। খেলার মাঠে সে সব সময় নিজের কাজটি ভালোভাবে তো শেষ করেই, মাঠের বাইরেও তার ব্যক্তিত্বের কোনো তুলনা হয় না। তার সঙ্গে খেলতে পারা আমার জন্য ছিল চমৎকার একটি অভিজ্ঞতা এবং আমি সব সময় তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখি। এই বিশ্বকাপের কোনো পর্যায়ে যদি আমার কোনো পরামর্শের দরকার হয়, আমি অবশ্যই তার সঙ্গে কথা বলব।’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২১-এ দক্ষিণ আফ্রিকা আগামী শনিবার তাদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে।