লকডাউনের শিক্ষা এখন আফিফের অনুশীলনে

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ব্যক্তিগত অনুশীলনে আফিফ হোসেন।ছবি : প্রথম আলো

করোনার লকডাউনে ক্রিকেটারদের সঙ্গে নিয়ম করে অনলাইনে সভা করতেন কোচরা। খেলোয়াড়দের শক্তি ও দুর্বলতার বিষয়গুলো তুলে ধরতেন। করোনার কারণে মাঠে খেলা না থাকায় শক্তি-দুর্বলতার দিকগুলো ব্যবচ্ছেদের প্রচুর সময় পেয়েছেন তাঁরা। ক্রিকেটারদের খুঁটিনাটি নিয়ে এত বিশ্লেষণ কিংবা আলোচনা করার এত সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যস্ত সূচিতে কখনোই পাওয়া যায় না।

সেদিক থেকে সুবিধাই হয়েছে বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটারদের। ব্যক্তিগত অনুশীলনে ঘরে বসে নিজেদের খেলা নিয়ে শেখা বিষয়গুলো নিয়ে এখন কাজ করতে পারছেন তাঁরা। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ব্যক্তিগত অনুশীলন শেষে আজ যেমন আফিফ হোসেন জানালেন করোনার লকডাউন কতটা কাজে লাগিয়েছেন তিনি। ঘরবন্দী ওই সময় তাঁর ব্যাটিংয়ের অনেক কৌশলই দেখিয়ে দিয়েছেন সদ্য সাবেক হয়ে যাওয়া ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি।

অনুশীলনে এসে সে বিষয়গুলোরই ব্যবহারিক প্রয়োগ করছেন তিনি, ‘লকডাউনের সময়টাতে আসলে ব্যাটিং নিয়ে চিন্তা করার অনেক সময়ে পেয়েছি। আমাদের যে সাবেক ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জির সঙ্গে অনলাইনে আলোচনায় ব্যাটিংয়ের কিছু কৌশল নিয়ে কাজ করেছি। আর ওগুলোই আপাতত করার চেষ্টা করছি। ওগুলোই ঠিক করতে পারলে হয়তো আরও ভালো পারফর্ম করতে পারব।’

লকডাউনের শিক্ষাটা কাজে লাগাচ্ছেন আফিফ।
ছবি: প্রথম আলো

ম্যাকেঞ্জি বাংলাদেশের তরুণ ব্যাটসম্যানদের ফ্রন্ট ফুটে খেলার দুর্বলতা নিয়ে কিছুটা বিরক্ত ছিলেন। তিনি বলতেন, দেশের মন্থর উইকেট খেলার কারণে সামনে পা থেকে পেছনের পায়ে যেতে সময় নিয়ে নেয় ব্যাটসম্যানরা। হয়তো সেই দেরিটা কয়েক ন্যানো সেকেন্ডের। কিন্তু তাতেই বিদেশের মাটিতে ফাস্ট বোলিংয়ের বিপক্ষে মাথায় আঘাত পাওয়ার শঙ্কা থাকে তাদের। বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যান মাথায় আঘাতও পেয়েছিলেন এই কারণে। করোনার আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে এই দুর্বলতা কাটাতে বেশ পরিশ্রম করেছিলেন তিনি।

ম্যাকেঞ্জিকে আর পাচ্ছেন না আফিফ-মোহাম্মদ নাঈম, নাজমুল হোসেনরা। এতে তাদের ফ্রন্ট ফুটের উন্নতির প্রক্রিয়াটা বাধাগ্রস্ত হলো। তবে আপাতত আফিফ চলছেন ম্যাকেঞ্জির নির্দেশমতোই, ‘লকডাউনের সময়টা অবশ্যই কঠিন ছিল। আমাদের কোচিং স্টাফ, ট্রেনাররা যেসব সূচি তৈরি করে দিয়েছিলেন তা বাসায় করার চেষ্টা করেছি। এ ছাড়া অনলাইনে যেসব সভা হয়েছে সেগুলো অনেক চাঙা করেছে। এখন অবশ্য মিরপুর এসে অনুশীলন করতে পেরে ভালো লাগছে। নিজের যেসব সেশন দরকার তা করতে পারছি। তো আশা করি এগুলো সামনে ভালো কাজে দেবে।’