লম্বা না হওয়ায় পেসার থেকে স্পিনার এজাজ

ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়ে ইতিহাস গড়েছেন এজাজ প্যাটেলছবি: এএফপি

মুম্বাই শহরে তাঁর জন্ম। ২৫ বছর আগে উন্নত জীবনের আশায় নিউজিল্যান্ডে পাড়ি জমিয়েছিল তাঁর পরিবার। ক্রিকেটের নেশা ছোটবেলা থেকে না থাকলেও নিউজিল্যান্ডে থিতু হয়ে তাঁর ধ্যানজ্ঞান হয়ে ওঠে এ খেলাটাই।

কথাগুলো হচ্ছে এজাজ প্যাটেলকে নিয়ে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়ে ইতিহাস গড়েছেন। কী অবিস্মরণীয় কাকতাল, ইতিহাস গড়লেন তাঁর জন্মশহরের সবচেয়ে বিখ্যাত ক্রিকেট মাঠ—ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে! সিনেমার গল্পও এভাবে ভাবাটা কঠিন।

মুম্বাই টেস্টের প্রথম দুই দিনেই ১০ ভারতীয় ব্যাটসম্যানকে একাই আউট করেন এজাজ। আর সেটি মুম্বাইয়ের মাঠে হওয়ায় তাঁর আনন্দটাও বাড়তি। শুধু তাঁর-ই নয়, তাঁর পুরো পরিবারের জন্যই দুর্দান্ত একটা উপলক্ষ, ‘আমার সব সময় স্বপ্ন ছিল মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে খেলার। আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। কিন্তু স্বপ্নপূরণের মঞ্চেই যে আমি ১০ উইকেট তুলে নেব, সেটি ভাবতে পারিনি, উপলক্ষটা কেবল আমারই নয়, আমার পরিবারের জন্যও বিশেষ কিছু।’

এজাজ প্যাটেল: জন্ম শহরের মাঠেই গড়লেন ইতিহাস
ছবি: এএফপি

ক্রিকেটার হয়ে ওঠার পথটা কঠিনই ছিল এজাজের। নিউজিল্যান্ডে গিয়ে খেলাটা শুরুর পর কোনো বিশেষ লক্ষ্য ছিল না, মনের আনন্দেই খেলতেন। পেসার হতে চেয়েছিলেন। এক সময় মনের অজান্তেই ক্রিকেট খেলাটা পেশাদারি মোড়কে শুরুর ইচ্ছা জাগে। এজাজ বুঝতে পারেন, পেস করার মতো যথেষ্ট লম্বা তিনি নন, ‘আমি পেস বোলিং করতাম। কিন্তু প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকের আগেই নিজেকে বদলে ফেললাম স্পিনার হিসেবে। দেখলাম আমার যে উচ্চতা, সেটি ফাস্ট বোলিংয়ের জন্য উপযোগী নয়, আমি স্পিনার হয়ে গেলাম।’

স্পিনার হিসেবে ২০১২ সালে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক এজাজের। স্পিনার হয়ে পথচলাটা তাঁর সহজ ছিল না। প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে। ১০ উইকেট নেওয়ার সময় সেই দিনগুলোর কথা আলাদা করেই মনে হচ্ছে তাঁর, ‘স্পিনার হয়ে ওঠাটা সহজ ছিল না, প্রচুর খাটতে হয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বল করতে হয়েছে। প্রচুর ঘাম ঝরিয়েই আমি স্পিনার হয়ে উঠেছি।’