লরেন্স-চমকের আগে দিনটা নিউজিল্যান্ডেরই

ডেভন কনওয়ে খেলেছেন ৮০ রানের ইনিংস।ছবি: টুইটার

দলে ভদ্রলোকের ভূমিকা ব্যাটসম্যানের। প্রথম ইনিংসেও মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে নেমে দলকে উদ্ধার করেছেন ১২৪ বলে ৮১ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলে।

বল করতে নেমেও ঘুরেফিরে সেই ভদ্রলোকেরই শরণ নিলো ইংল্যান্ড। ভদ্রলোকও দলকে খালি হাতে ফেরালেন না।

হাত ঘুরিয়ে ভাঙলেন ৯২ রানের জুটি। নিউজিল্যান্ড ইনিংসের তৃতীয় উইকেটে রস টেলর আর উইল ইয়ংয়ের যে জুটিটা মোটামুটি তিরিশ ওভারেরও বেশি সময় ধরে ইংল্যান্ডের গলার কাঁটা হয়ে ছিল।

বলা হচ্ছে ড্যান লরেন্সের কথা।

বল হাতে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট পেয়েছেন এই ডানহাতি অফস্পিনার। ওলি পোপের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ইয়ংকে আউট করেছেন লরেন্স। ২০৪ বল খেলে ১১টা চারের সাহায্যে ৮২ রান করেছেন ইয়ং।

তবে লরেন্সের এই চমক দেখানো কৃতিত্বেও ইংল্যান্ডের চিন্তা পুরোপুরি মেটেনি। দ্বিতীয় দিন শেষে নিউজিল্যান্ড মোটামুটি চালকের আসনেই বসেছে এজবাস্টন টেস্টে। দ্বিতীয় দিন শেষে ৭৬.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২২৯ রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড।

প্রথম ইনিংসে ৩০৩ রানে অলআউট হয়ে যাওয়া ইংল্যান্ডের চেয়ে ৭৪ রানে পিছিয়ে আছে কিউইরা। তা সত্ত্বেও, সাত উইকেট এখনও হাতে আছে, লিড নেওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা তাদের সামনে। ইয়ং ছাড়াও ৮০ রান করেছেন ওপেনার ডেভন কনওয়ে। স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে জ্যাক ক্রলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ভেঙেছে তাঁর ১৪৩ বলে ১২ চারে সাজানো ইনিংস।

উইল ইয়াং করেছেন ৮২ রান।
ছবি: টুইটার

নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের শুরুটা অবশ্য ইংল্যান্ডের জন্য আশা জাগানিয়াই ছিল। ব্রডের বলেই পরাস্ত হয়ে ষষ্ঠ ওভারের মধ্যে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছিলেন অধিনায়ক টম ল্যাথাম, এলবিডব্লুর শিকার হয়ে। স্কোরবোর্ডে রান তখন মাত্র ১৫।

এরপরেই শুরু হয় কনওয়ে আর ইয়ংয়ের প্রতিরোধ। দুজন মিলে শুরুর ধাক্কা সামলে ১২২ রানের জুটি গড়েন। প্রায় চল্লিশ ওভার কাটিয়ে দেন ক্রিজে। তাতেই নিশ্চিত হয়ে যায়, শুরুতে মচকালেও, ভাঙছে না কিউইরা।

কনওয়ে চলে যাওয়ার পর অভিজ্ঞ রস টেলরের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ইয়ং। তাতেই আরও ব্যাকফুটে চলে যায় ইংলিশরা। ৯৭ বলে ৪৬ করে এখনও অপরাজিত আছেন টেলর। মেরেছেন ৬টি চার। গোটা ইনিংসে নিউজিল্যান্ড এখনও কোনো ছক্কা হাঁকায়নি।

রস টেলর দিন শেষে অপরাজিত ৪৬ রানে।
ছবি: টুইটার

প্রথম দিন শেষে অপরাজিত ছিলেন মার্ক উড আর ড্যান লরেন্স। লরেন্স ৬৭ ও উড ১৬ রান নিয়ে উইকেটে ছিলেন। কাল দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে ৭ উইকেটে ২৫৮ রান তুলেছে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে আর ৪৫ রান তুলতে না তুলতেই বাকি সবাই আউট হয়ে গিয়েছেন।

ইংল্যান্ডের ইনিংসের লেজটা ছেঁটে দিয়েছেন ম্যাট হেনরি আর ট্রেন্ট বোল্ট। ৮০ বলে ৪১ রান করে হেনরির বলে বোল্ড হয়েছেন উড। ওদিকে ব্রড আর অ্যান্ডারসনকে আউট করেছেন বোল্ট। ৮১ রানে অপরাজিত ছিলেন লরেন্স।

আর ৩.৩ ওভার পর নতুন বল পাবে ইংল্যান্ড। তখন অ্যান্ডারসন-ব্রড যদি কিছু করতে পারেন, তাহলেই ইংল্যান্ডের মুখে হাসি ফুটবে!