লিটন জ্বলে উঠলেন আসল সময়েই
মার্চে করোনাবিরতি শুরুর আগে যেখানে শেষ করেছিলেন, বিরতি শেষে সেখান থেকে শুরু করতে পারেননি লিটন দাস। বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের লিগ পর্বে চার ম্যাচে করেন ১১, ০, ২৭ ও ৫ রান। অবশেষে রান খরায় ভোগা লিটন নিজেকে ফিরে পেতে বেছে নিলেন বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের ফাইনালকেই। ৬৯ বলে ৬৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেন দলের শিরোপা জয়ে। নাজমুল একাদশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে তিন দলের সিরিজটা জিতেছে তাঁর দল মাহমুদউল্লাহ একাদশ।
নাজমুল একাদশের ১৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাহমুদউল্লাহ একাদশ দলীয় ১৮ রানেই হারায় ওপেনিংয়ে নামা মুমিনুল হককে (৪)। দ্রুত ওপেনিং জুটি ভাঙলেও মাহমুদউল্লাহ একাদশ আর সুযোগ দিতে চায়নি নাজমুল একাদশের বোলারদের। লিটন-মাহমুদুল হাসানের দ্বিতীয় উইকেটে ৪৮ রানের জুটি। নাসুম আহমেদের বলে ১৮ রান করা মাহমুদুল ফিরলেও সেটি ১৭৩ রানের জবাব দিতে নামা মাহমুদউল্লাহ একাদশকে চাপে ফেলতে পারেনি। উইকেটে যে তখন দ্যুতি ছড়াচ্ছেন লিটন!
লিটন উইকেটে থাকা মানেই স্ট্রোক খেলার অপূর্ব প্রদর্শনী। ১০ চারে ৯৮.৫৫ স্ট্রাইকরেটে ৬৯ বলে ৬৮ রান করা লিটনের ইনিংস শেষ করে আসা উচিত ছিল। কিন্তু নাসুমকে কাট করতে গিয়ে বদলি উইকেটকিপার পারভেজ হোসেনের ক্যাচ হওয়ায় সেটি হয়নি। অবশ্য দলকে ভালো অবস্থানে রেখেই গেছেন তিনি। আর ইমরুল কায়েস দিলেন তুলির শেষ আঁচড়। লিটন-ইমরুলের তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করা ৬৩ রানই মাহমুদউল্লাহ একাদশকে নিয়ে গেছে জয়ের প্রান্তে।
লিটনের ইনিংসটা মুগ্ধতা জাগানিয়া হলেও ইমরুলকে খুব বেশি পিছিয়ে রাখার সুযোগ নেই। বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে যেন আজ ছক্কার নেশায় পেয়ে বসেছিল! ১ চারের বিপরীতে মেরেছেন ৬টি ছক্কা। ৫৫ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করে ফিরেছেন ইমরুল।
প্রেসিডেন্টস কাপের সেরারা:
ফাইনাল সেরা: সুমন খান
টুর্নামেন্ট সেরা: মুশফিকুর রহিম
টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটসম্যান: ইরফান শুক্কুর
টুর্নামেন্টের সেরা বোলার: রুবেল হোসেন
টুর্নামেন্টের সেরা ফিল্ডার: নুরুল হাসান