লিটন-নাঈমের ব্যাটিংকে আদর্শ বলছেন মাহমুদউল্লাহ

দুই ওপেনারই জয়ের ভিত্তি এনে দিয়েছেনছবি: প্রথম আলো

জিম্বাবুয়ে সিরিজে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ নাঈম তুলেছিলেন ১০২ রান। এরপর থেকেই যেন ওপেনিং জুটিতে খেই হারিয়ে ফেলছিল বাংলাদেশ। পরের ৮ ম্যাচে কখনোই ৫০ পেরোয়নি বাংলাদেশের প্রথম জুটি।

আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নাঈম ও লিটন দাস এনে দিলেন ৫৯ রানের ওপেনিং জুটি। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ১৪১ রানের ভিত গড়ে দিল সেটা। ম্যাচ শেষেও ওপেনারদেরই কৃতিত্ব দিচ্ছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। বলছেন, শুরুতে ব্যাটিংটা সহজ ছিল না, তবে ওপেনাররা আদর্শ শুরু এনে দিয়েছেন।

দ্রুত রান তোলার চেষ্টা ছিল লিটনের মাঝে
ছবি: প্রথম আলো

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫ ম্যাচ সিরিজে দুই দল মিলিয়ে সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ১৩১ রান। এরপর নিউজিল্যান্ড সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ৬০ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশকে খেলতে হয়েছিল ১৫ ওভার। সাকিব আল হাসান প্রথম ম্যাচ শেষে বলেছিলেন, অস্ট্রেলিয়া সিরিজের চেয়েও উইকেটটা কঠিন ছিল সেদিন। তবে আজ মাহমুদউল্লাহ বলেন, আগের দিনের চেয়ে একটু সহজ ছিল উইকেট।

তবে শুরুতে ব্যাটিং কঠিন ছিল বলেই জানিয়েছেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক, ‘নতুন বলে এই উইকেটে ব্যাটিং করা অনেক কঠিন। যখন বলের সিম শক্ত থাকে তখন বল বেশ বাউন্স করে, কয়েকটা বল স্কিড করে। কিছু আবার জোরে বাঁক খায়। সেদিক থেকে নাঈম ও লিটন খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। আমাদের যেমন শুরুটা দরকার ছিল পাওয়ার প্লেতে, একদম আদর্শ শুরু এনে দিয়েছে। মাঝেও আমাদের বেশ কিছু ভালো জুটি হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আমরা ১৪০ রান করতে পেরেছি, যা এই উইকেটে ভালো স্কোর ছিল।’

নাঈমও টিকেছিলেন বেশ অনেকক্ষণ
ছবি: প্রথম আলো

অবশ্য পরের দিকে ব্যাটিং তুলনামূলক সহজ হয়ে এসেছিল বলেও মনে করেন মাহমুদউল্লাহ, ‘আমার মনে হয় উইকেট আগের দিনের চেয়ে ভালো ছিল একটু। যদিও আমাদের ব্যাটিংয়ের সময় স্পিন ধরছিল, বাউন্সও একটু উঁচু-নিচু ছিল। তবে ফ্লাডলাইটে ব্যাটিং করাটা আরেকটু সহজ হয়ে এসেছিল। তবে আমাদের বোলাররা খুবই ভালো করেছে, ১৪০ ডিফেন্ড করেছে। বোলারদের কৃতিত্ব দিতেই হয়।’

শেষ পর্যন্ত ৩২ বলে ৩৭ রানের ইনিংসের জন্য অবশ্য ম্যাচসেরা হয়েছেন মাহমুদউল্লাহই। আর ফিফটি করেও দলকে পার করাতে পারেননি নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথাম। শেষ ওভারে ২০ রান প্রয়োজন থাকলেও মোস্তাফিজুর রহমানের করা নো বলে একটু সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের। তবে শেষ পর্যন্ত মোস্তাফিজ তেমন অঘটন ঘটতে দেননি।

মাহমুদউল্লাহর ইনিংস জয় এনে দিয়েছে দলকে
ছবি: প্রথম আলো

স্নায়ু ধরে রাখার জন্য মোস্তাফিজকেও কৃতিত্ব দিচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ, ‘টি-টোয়েন্টিতে এমন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। সেটা বোলিংয়ে হোক কিংবা ব্যাটিংয়ে। ব্যাটিংয়ে থাকলেও অনেক সময় ১২ বলে ২০ রান, ২৪ রান করতে হতে পারে। বোলারদেরও এমন রান বাঁচিয়ে ম্যাচ বের করতে হতে পারে। যেটা আজ মোস্তাফিজ খুব ভালোভাবে করেছে। এ জন্য আমরা ম্যাচটা জিততে পেরেছি।’

শেষ পর্যন্ত জয়টাই বড় কথা, মাহমুদউল্লাহ আবারও মনে করিয়ে দিলেন সেটা, ‘টি-টোয়েন্টিতে এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হবেই। এমন ম্যাচ জিততে পেরে ভালো লাগছে। যেভাবেই হোক না কেন, জয়টাই মুখ্য। বিশেষ করে মোস্তাফিজ—সে স্নায়ুর চাপ ভালো সামাল দিয়েছে। ম্যাচটা ওদের খুব কাছে চলে গিয়েছিল ওই নো বলটার কারণে। আমার অবশ্য মোস্তাফিজের ওপর আস্থা ছিল এবং দলের জন্য পারফর্ম করেছে।’