শুরুর আগে আইপিএলে টাটা

আইপিএলে দুটি নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি দল যোগ হয়েছেছবি: বিসিসিআই

আইপিএলের পরবর্তী মৌসুম শুরুর দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি। তার আগেই এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পনসর থেকে সরে দাঁড়াল চীনের মুঠোফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ভিভো।

এ বছর থেকে আইপিএলের টাইটেল স্পনসর হিসেবে দেখা যাবে ভারতের বহুজাতিক ব্যবসায়ী গোষ্ঠী টাটাকে। আজ আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সভায় সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়।

গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকের পর আইপিএল চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজকে বলেন, ‘ভিভো সরে দাঁড়িয়েছে। টাইটেল স্পনসর হবে টাটা।’ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআইকেও ব্রিজেশ প্যাটেল বলেছেন, ‘আইপিএলের টাইটেল স্পনসর হিসেবে আসছে টাটা।’

২০১৮-২২ সাল পর্যন্ত আইপিএলের টাইটেল স্পনসর হিসেবে ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) ২ হাজার ২০০ কোটি রুপির চুক্তি সই করেছিল ভিভো। কিন্তু ২০২০ সালে ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত সংঘাতের কারণে আইপিএল থেকে এক বছরের বিরতি নেয় প্রতিষ্ঠানটি। ভিভোর জায়গায় টাইটেল স্পনসর হয় ড্রিম ১১।

আইপিএলের টাইটেল স্পনসর হচ্ছে টাটা
ফাইল ছবি: এএফপি

গত বছর আবারও টাইটেল স্পনসর হিসেবে ফিরে আসে ভিভো। যদিও এর মধ্যে কথা উঠেছিল, এ স্বত্ব তারা দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের কাঁধে তুলে দেবে এবং বিসিসিআইয়েরও তাতে আপত্তি নেই।

টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে পিটিআইকে বিসিসিআইয়ের এক সূত্র বলেছেন, আজ হোক কাল হোক—এটা হওয়ারই কথা ছিল। ভিভোর উপস্থিতি এই লিগ ও প্রতিষ্ঠানের জন্যও খারাপ ভাবমূর্তি তৈরি করছিল। চীনা পণ্যের প্রতি (ভারতে) নেতিবাচক মানসিকতার কারণে প্রতিষ্ঠানটি সরে দাঁড়িয়েছে। চুক্তির আরও এক বছর বাকি ছিল।

তবে ভিভো সরে দাঁড়ানোয় টাইটেল স্পনসর থেকে বিসিসিআই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। নতুন প্রতিষ্ঠান টাইটেল স্পনসর হওয়ার পর বিসিসিআইকে বার্ষিক ৪৪০ কোটি রুপি দিতে হবে। এ অর্থের ৫০ শতাংশ রাখে বিসিসিআই। বাকি অর্ধেক ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলোর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়।

এ মৌসুম থেকে দুটি নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি দল যোগ হবে আইপিএলে। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ২০২২ ও ২০২৩ সালের জন্য আইপিএলের টাইটেল স্পনসর হবে টাটা গ্রুপ। অর্থাৎ ভিভোর চুক্তির বাইরে অতিরিক্ত এক বছর টাইটেল স্পনসর হবে টাটা। তবে টাটার সঙ্গে বিসিসিআইয়ের ঠিক কত টাকার চুক্তি হয়েছে, তা জানা যায়নি।