শুরুর ঝড়ই ১৯৫ রান এনে দিল পাঞ্জাবকে

ঝড় তুলেছিলেন আগারওয়াল।ছবি: আইপিএল

সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটি ইনিংস। একদিকে ঝড় তুলেছেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল। ওদিকে অধিনায়ক লোকেশ রাহুল শুধু প্রান্ত বদলে ব্যস্ত। বল প্রতি এক রান টি-টোয়েন্টিতে অপরাধ বলেই ঠেকে। তবু আগারওয়ালের দাপুটে ব্যাটিং সেদিকে নজর ফেলতেই দেয়নি।

উদ্বোধনী জুটির বিপরীতমুখী এই ব্যাটিং দুর্দান্তে এক শুরু এনে দিয়েছে পাঞ্জাব কিংসকে। আজ দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে আজ ফিফটি পেয়েছেন পাঞ্জাবের দুই ওপেনারই। রাহুল ও আগারওয়ালের দুটি ষাটোর্ধ্ব ইনিংসের সঙ্গে মিডল অর্ডারের কার্যকরী ছোট দুটি ঝড় বড় এক স্কোরই এনে দিয়েছে পাঞ্জাবকে।

ওয়াংখেড়ের উইকেটে আগের ম্যাচেই ধুঁকে ধুঁকে ১০৬ রান তুলেছিল পাঞ্জাব। আজ সে মাঠেই ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৫ রানের পাহাড় গড়েছে পাঞ্জাবের রাজারা।

১২২ রানের জুটি গড়েছেন দুজন।
ছবি: আইপিএল

ইনিংসের শুরু থেকেই উদ্দেশ্য পরিষ্কার ছিল পাঞ্জাবের। একদিকে আগারওয়াল ঝড় তুলবেন, ওদিকে আগের ম্যাচের মতো যেন ধস না নামে সেটা নিশ্চিত করবেন অধিনায়ক রাহুল। রাহুলের এমন সাবধানী ব্যাটিংয়ের পরও ৫ ওভারেই ৫০ রান তুলে ফেলেছে পাঞ্জাব। পাওয়ার প্লে শেষ করেছে ৫৯ রানে। এ পর্যন্ত ২৪ বল খেলে রাহুলের রান ২৩, আর ১৩ বল খেলেই আগারওয়ালের রান ৩০!

পাওয়ার প্লের পরও নিজের ধরন পাল্টাননি আগারওয়াল। ১০ম ওভারে যখন ফিফটি পাচ্ছেন, তখন সঙ্গীর রান ৩৫ রান। রাহুলের ৩৫ রান যেখানে ৩৩ বলে। সেখানে পঞ্চাশ ছোঁয়ার সময় আগারওয়াল মোটে খেলেছেন ২৫ বল। ১০ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৯৪ রান ছিল পাঞ্জাবের।

শেষে গুরুত্বপূর্ণ ২২ রান এনে দিয়েছেন।
ছবি: আইপিএল

১১ তম ওভার করতে এসেছিলেন কাগিসো রাবাদা। দুর্দান্ত উপায়ে তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আগারওয়াল। লং অফের ওপর দিয়ে এক ছক্কায় দলের এক শ পূরণ করেন আগারওয়াল। পরের বলেই আবার ছক্কা। এবার পুল করে সীমানার বাইরে আছড়ে ফেলেছেন। সে ওভারেই রাবাদাকে আরেকটা ছক্কা মেরে দুঃস্বপ্নের পূর্ণতা দেন রাহুল।

১৩ তম ওভারে আগারওয়ালের বিদায়েই ছন্দপতন। লুকমান মেরিওয়ালার বলে টাইমিং ঠিকঠাক না হওয়ার দায় মিটিয়ে ৬৯ রান করে ফিরলেন আগারওয়াল। ৩৬ বলের ইনিংসে সাত চারের সঙ্গে চার ছক্কা ছিল। রাহুলের কষ্টার্জিত ফিফটি আসে পরের ওভারে। ৪৫ তম বলে গিয়ে ফিফটির দেখা পেয়েছেন এই ওপেনার। ফিফটির পর ইনিংসের গিয়ার পাল্টাতে গিয়েও পারলেন না। পরের ৫ বলে ১১ রান তুলে আউট হয়ে গেলেন রাবাদার বলে। ৫১ বলে ৬১ রান করা রাহুলের ইনিংসেও সাত চার ছিল, তবে ছক্কা দুটি কম।

এরপর দুই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিস গেইল ও নিকোলাস পুরানে আস্থা রেখেছিল পাঞ্জাব। কিন্তু দুজন মিলে মাত্র ২০ রান (১১ ও ৯) এনে দিয়েছেন। দীপক হুদা (১৩ বলে ২২) ও শাহরুখ খানই (৫ বলে ১৫) দলকে প্রায় দুই শ ছোঁয়া ইনিংস এনে দিয়েছেন।