জয়ের জন্য শেষ ওভারে দরকার ১৩ রান। উইকেটে মঈন আলী ও মহেন্দ্র সিং ধোনি। টম কুরান প্রথম বলে মঈনকে তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকের হাতছানি পেলেও পরের বলে চার মারেন ধোনি। লক্ষ্য নেমে আসে ৪ বলে ৯ রানে। ধোনি হতাশ করেননি।
কুরানের পরের বলেও চার মেরে আরও সহজ করে ফেলেন লক্ষ্য, ৩ বলে ৫। এই চাপ নিতে পারেননি কুরান। পরের বল ওয়াইড। লক্ষ্য আরেকটু সহজ ৩ বলে ৪। ধোনির সহ্য হয়নি। টানা তিন বলে তিন চার মেরে চেন্নাইকে আইপিএলের ফাইনালে তুললেন অধিনায়ক। দুবাইয়ে আজ কোয়ালিফায়ারে দিল্লিকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে চেন্নাই।
আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৭২ রান তুলেছিল দিল্লি। তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় উইকেটে ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ও রবীন উথাপ্পা ৭৭ বলে ১১০ রানের জুটি গড়েন। এরপর দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল চেন্নাই। শেষ ওভারে টানা চারে ৬ বলে ১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন ধোনি। ৪৪ বলে ৬৩ রানে আউট হন উথাপ্পা। ৫০ বলে ৭০ রান করেন ঋতুরাজ।
আইপিএল এ নিয়ে নবমবারের মতো ফাইনালের দেখা পেল চেন্নাই। দিল্লির ফাইনালে ওঠার সুযোগ শেষ হয়নি। এলিমিনেটরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মুখোমুখি হবে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এ ম্যাচে জয়ী দলের বিপক্ষে বুধবার মাঠে নামবে দিল্লি। জয়ী দল ফাইনালে চেন্নাইয়ের মুখোমুখি হবে।
দিল্লির হয়ে ওপেনার শিখর ধাওয়ান ৭ বলে ৭ রান করে আউট হন। ৬ ওভারের মধ্যে শ্রেয়াস আইয়ার (৮ বলে ১ রান) ও ধাওয়ানকে হারিয়ে বিপদে পড়েছিল দিল্লি। ওপেনার পৃথ্বী শ ৩৪ বলে ৬০ রান (৩ ছক্কা ও ৭ চার) করে এক প্রান্তে রানের চাকা আগলে রাখলেও বড় পুঁজি সংগ্রহ করতে একটা জুটি দরকার ছিল দিল্লির।
পঞ্চম উইকেটে শিমরন হেটমায়ার ও ঋষভ পন্ত ৫০ বলে ৮৩ রানের জুটি গড়ে দিল্লিকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন। ২ ছক্কা ও ৩ চারে ৩৫ বলে ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন ঋষভ। ১ ছক্কা ও ৩ চারে ২৪ বলে ৩৭ রানে আউট হন হেটমায়ার। চেন্নাইয়ের হয়ে ২৯ রানে ২ উইকেট নেন জস হ্যাজলউড।
প্রথম ওভারে ফাফ ডু প্লেসিকে হারিয়ে চেন্নাইও বিপদে পড়েছিল। দ্বিতীয় উইকেটে উথাপ্পা-ঋতুরাজ জুটি উদ্ধার করেন চেন্নাইকে। ৪৪ বলে ৬৩ রান করে টম কুরানের বলে সীমানায় শ্রেয়াস আইয়ারের ঠান্ডা মাথার ক্যাচের শিকার হন উথাপ্পা।
এরপরই জমে ওঠে নাটক। তখন ৪০ বলে ৬০ রানের দূরত্বে চেন্নাই। এ অবস্থায় চারে পেসার শার্দুল ঠাকুরকে পাঠিয়ে চমকে দেয় চেন্নাই। পরে ব্যাটসম্যান রেখে দ্রুত রান তুলতেই তাঁকে পাঠানো।
কুরানের ওভারেই শেষ বলে শার্দুল ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ায় চেন্নাইয়ের পরিকল্পনা কাজে লাগেনি। পরের ওভারে দারুণ অম্বতি রাইড়ুকে রান আউট করেন শ্রেয়াস। ওই ওভার শেষে চেন্নাই দাঁড়িয়ে ৩০ বলে ৫২ রানের দূরত্বে।
মঈন আলী ও ঋতুরাজ ২১ বলে ৩০ রানের জুটি গড়ে চেন্নাইকে এগিয়ে নেন। ঋতুরাজ আউট হওয়ার পর উইকেটে আসেন ধোনি। মঈন ১৬ রান করে শেষ ওভারের প্রথম বলে আউট হওয়ার পর ঠান্ডা মাথায় ম্যাচটা শেষ করে আসেন ধোনি। দিল্লির হয়ে ২৯ রানে ৩ উইকেট নেন টম কুরান।