শেষ ওভারে ৪ বলে ৪ উইকেট নিয়ে চমক দেখাল জিম্বাবুয়ে

চার বলে চার উইকেট নেওয়ার কীর্তিতে জিম্বাবুয়ের নাম উঠেছেছবি : টুইটার

চার বলে চার উইকেট।


শুনলেই মাথায় লাসিথ মালিঙ্গার নাম আসা স্বাভাবিক। চার বলে চার উইকেট নেওয়ার কীর্তি দুবার গড়েছেন লঙ্কান এই পেসার। ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জর্জটাউনে একবার, ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ক্যান্ডিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে একবার। কিন্তু এখন থেকে চার বলে চার উইকেটের কথা উঠলে মালিঙ্গার পাশাপাশি আলোচনায় জিম্বাবুয়ের নামও উঠবে নিশ্চিত। একই কাণ্ড যে কাল করে দেখিয়েছে আফ্রিকার দেশটাও।

তবে হ্যাঁ, মালিঙ্গার মতো চার উইকেটই নিজের নামে করে নিতে পারেননি ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডের শেষ ওভারে বল করতে এসে দুই উইকেট নিয়েছেন নিজে, স্কটল্যান্ডের বাকি দুজন হয়েছেন রানআউট।

ফলে আক্ষরিক অর্থে মালিঙ্গার পাশে নিজের নাম লেখাতে না পারলেও চার বলে চার উইকেটে নেওয়ার কীর্তিতে জিম্বাবুয়ের নাম উঠেছে ঠিকই।

এডিনবার্গের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শেষ ওভারে জেতার জন্য ১৩ রান দরকার ছিল স্কটল্যান্ডের। খুব ভালোভাবেই জয়ের আশা ছিল দলটার।

এরপরই মঞ্চে আবির্ভাব মাসাকাদজার। প্রথম চার বলেই স্কটল্যান্ডের শেষ চার উইকেট তুলে নিল জিম্বাবুয়ে। ১৯.৪ ওভারে ১২৬ রানে অলআউট হয়েছে স্কটল্যান্ড, ১০ রানে ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা এনেছে জিম্বাবুয়ে। প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ড জিতেছিল ৭ রানে।

ওভারের প্রথম বলেই রায়ান বার্লের ক্যাচ বানিয়ে সাফিয়ান শরিফকে আউট করেন মাসাকাদজা। পরের বলেই মাসাকাদজা ও শন উইলিয়ামসের কল্যাণে রানআউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মার্ক ওয়াট। তৃতীয় বলে আবারও সেই মাসাকাদজা-উইলিয়ামস যুগলবন্দী, এবার মাইকেল লিস্ককে উইলিয়ামসের ক্যাচ বানান মাসাকাদজা। চতুর্থ বলে উইকেটকিপার রেগিস চাকাভা ও ওয়েসলি মাধেভেরে মিলে রানআউট করেন অ্যালাসডাইর ইভান্সকে।


প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৩৬ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। তিন ওভারের মধ্যে মাত্র ২০ রান তুলতেই তিন উইকেট হারিয়ে বসে জিম্বাবুয়ে। এরপর ইনিংস মেরামতের কাজ করেন অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন ও শন উইলিয়ামস। ৫২ বলে ৬০ রান করে অপরাজিত থাকেন উইলিয়ামস। পরে ব্যাট করতে নেমে ১২৬ রানেই গুটিয়ে যায় স্কটল্যান্ড।