শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের ‘আনফলো’ করার প্রচারণা চালাচ্ছেন সমর্থকেরা
সমর্থকেরা আর কত সইবেন, হারের তো একটা শেষ আছে! টি-টোয়েন্টি সংস্করণে টানা পাঁচ সিরিজ হার। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের সমর্থকেরা তাই আর চুপ করে থাকতে পারেননি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের ‘আনফলো’ (অনুসরণ না করা) করার প্রচারণা শুরু করেছেন তাঁরা। এ প্রচারণা এরই মধ্যে জনপ্রিয়তা (ট্রেন্ড) পেয়েছে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কাল সাউদাম্পটনে টি–টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে ৮৯ রানে হারে শ্রীলঙ্কা। তিন ম্যাচের এ সিরিজ ৩–০ ব্যবধানে জিতে নেয় ইংল্যান্ড। এরপরই আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হ্যাশট্যাগ (#)আনফলোক্রিকেটার্স লিখে প্রচারণা চালানো শুরু করেন সমর্থকেরা।
২০১৬ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে এ পর্যন্ত এই সংস্করণে ৪৭ ম্যাচে ৪৩ ক্রিকেটার খেলিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ক্রিকেট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে এ সংস্করণে সর্বোচ্চসংখ্যক খেলোয়াড় অদলবদল করিয়েও খুব একটা উন্নতি করতে পারেনি তারা। টি–টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে দলটি এখন আটে—আফগানিস্তানেরও নিচে। অথচ ২০১৪ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীলঙ্কা।
শ্রীলঙ্কার সহ–অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস ও ওপেনার দানুস্কা গুনাতিলকার ফেসবুক পেজ হাজারো সমর্থক বর্জন করেন, জানায় স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নিউজসেন্টারডটএলকে।
শ্রীলঙ্কার জনপ্রিয় এই সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, ‘শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের আনফলো করাই এই প্রচারণার লক্ষ্য। তাঁদের ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম পেজ আনফলো করা।’ এখানেই শেষ নয়। সমর্থকেরা ক্রিকেটারদের নিয়ে কৌতুকপূর্ণ এবং শ্লেষাত্মক ‘মিম’ শেয়ার করছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। জাতীয় দলের খেলা টিভিতে না দেখার অনুরোধও করেছেন সমর্থকেরা।
সংবাদ সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, আহমেদ ইনামুল হক নামে এক সমর্থক টুইট করেন, ‘এসব ব্যর্থ ক্রিকেটারকে আনফলো করুন। জাতীয় দলে পারফর্ম করতে না পারলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের পাত্তা দেবেন না। এই বিশাল ভক্তকুল পাওয়ার যোগ্যতা তাঁদের নেই।’
তবে সিনিয়র ক্রিকেটারদের কাছ থেকে এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। অনেকের কাছেই ইংল্যান্ড সফরে শ্রীলঙ্কা দলের এই পারফরম্যান্স গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বাজে। শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া সাংবাদিক মঞ্জুলা বাসনায়েকের টুইট, ‘আমি ১৯৯৩ সাল থেকে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট অনুসরণ করি। এত দুর্বল দল কখনো দেখিনি। বল মারতেই পারে না।’
তৃতীয় টি–টোয়েন্টি ম্যাচে ৬ উইকেটে ১৮০ রান তোলে ইংল্যান্ড। তাড়া করতে নেমে ৯১ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। এই সিরিজে কোনো ম্যাচেই ন্যূনতম প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি কুশল পেরেরার দল। টি–টোয়েন্টি সিরিজের পর এখন তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড।