শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়দের দুই দিনের ছুটি দিলেন লুঙ্গি-ককরা
জোহানেসবার্গে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে এমন কিছু নিশ্চয়ই ভাবেনি শ্রীলঙ্কা। কিন্তু আজ তৃতীয় দিনের খেলায় ভোজবাজির মতো সব পাল্টে গেল!
লঙ্কান মিডল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডারের ফেরার মিছিল দেখে মনে হয়েছে, টেস্টে বাকি দুটি দিন তাঁরা আর মাঠে নামতে চান না!
৪ উইকেটে ১৫০ রান, উইকেটে ৯১ রানে থিতু ওপেনার দিমুথ করুণারত্নে। অন্য প্রান্তে ২৮ রানে অপরাজিত নিরোশান ডিকভেলা। ৫ রানের লিড, হাতে ছিল ৬ উইকেট।
দ্বিতীয় দিন শেষে এই ছিল শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংসের স্কোরকার্ড। এখান থেকে চতুর্থ ইনিংসের জন্য যতটা সম্ভব বড় লক্ষ্য দেওয়ার চেষ্টা করে দলগুলো।
কিন্তু আজ তৃতীয় দিনে শ্রীলঙ্কার ইনিংস টিকেছে মাত্র ১০৭ বল। ৬১ রান তুলতে নেই বাকি ৬ উইকেট! এমন ব্যাটিংয়ে খেসারত হিসেবে ১০ উইকেটের হারকে রসিকতার ছলে লঙ্কানদের ‘ছুটি কাটানোর ফন্দি’ বলাই যায়!
সফরকারী দল তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২১১ রানে গুটিয়ে যাওয়ায় টেস্টের বাকি দুই দিনে আর মাঠে নামার প্রয়োজন নেই। জয়ের জন্য মাত্র ৬৭ রানের লক্ষ্য আজ হেসেখেলে টপকে দুই টেস্টের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
করুণারত্নে-ডিকভেলার জুটি সকালে লম্বা হয়নি। করুণারত্নে (১০৩) সেঞ্চুরি পেলেও দিনের খেলার পঞ্চম ওভারে প্রোটিয়া পেসার আনরিখ নর্তিয়ের শিকার হন। পরের ওভারে ডিকভেলাকে ফেরান লুঙ্গি এনগিদি। এরপর প্রোটিয়া ফিল্ডারদের মাঠে আর বেশিক্ষণ কষ্ট করতে হয়নি।
করুণারত্নে-ডিকভেলার জুটির পর আর কোনো জুটিতে ২০ রানও যোগ করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ৪ উইকেট নেন এনদিগি, ৩ উইকেট লুথো সিমপালার।
সামান্য সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা খেলেছে ওয়ানডে ধাঁচে। দুই ওপেনার এইডেন মার্করাম ও ডিন এলগার আর কাউকে নামতে দেননি। ওভারপ্রতি ৫-এর বেশি রান তুলে মাত্র ১৩.২ ওভারে জয় এনে দেন দুই ওপেনার।
এই সিরিজে ৭৯.০৬ স্ট্রাইক রেট নিয়ে ব্যাট করেছেন এলগার। প্রায় দুই বছরের মধ্যে এই প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল দক্ষিণ আফ্রিকা।