শ্রীলঙ্কায় না গেলে তামিমরা কী করবেন

শ্রীলঙ্কা সফর সামনে রেখে অনুশীলন শুরু করেছিলেন তামিমরা।ছবি: প্রথম আলো

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের মাঝ উইকেটে তাসকিন আহমেদকে সামনের পায়ে তামিম ইকবাল নয়নজুড়ানো যে শটটি খেললেন, সেটি দেখে ওটিস গিবসন তালি না দিয়ে পারলেন না। যেহেতু পেস বোলিং কোচ, গিবসনের চাওয়া ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষাই নেবেন তাঁর পেসাররা। কিন্তু তামিমের দৃষ্টিনন্দন শট মুগ্ধ করেছে তাঁকেও।

বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরা ভালোভাবেই অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন গত দেড় মাস। বিদেশি কোচিং স্টাফরাও চলে এসেছিলেন ঢাকায়। সতর্কতার অংশ হিসেবে এর মধ্যে একবার করে করোনা পরীক্ষা হয়েছে দল-সংশ্লিষ্ট সবার। সবকিছু করা হচ্ছিল একটিই উদ্দেশে, ভালো করতে হবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে।

শ্রীলঙ্কা সফর না হলে বিসিবি মনোযোগ দেবে ঘরোয়া ক্রিকেটে।
ছবি: প্রথম আলো

ক্রিকেটারদের সব চেষ্টা কিংবা বিসিবির উদ্যোগ যেন ভেস্তে বসেছে! শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি) বিসিবিকে যে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা পাঠিয়েছে, সে সব শর্ত মেনে কিছুতেই শ্রীলঙ্কা সফর করতে রাজি নয় বিসিবি।

বিসিবি সভাপতি নিজেদের অনড় অবস্থান পরিষ্কার করার কয়েক ঘণ্টা পর শ্রীলঙ্কার যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নামাল রাজাপক্ষে টুইট করে জানিয়েছেন, তিনি এসএলসিকে তাঁদের কোভিড টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে আলোচনা করে বিসিবির চাওয়াগুলো পুনর্বিবেচনা করার নির্দেশনা দিয়েছেন।

সফরটা নিয়ে বিসিবি একরকম আশা হারিয়ে ফেলেছে। এখন তাই প্রশ্ন উঠছে, শ্রীলঙ্কা সফর যদি না-ই হয়, দেশের ক্রিকেট ফেরাতে এখন কী করতে পারে বিসিবি?

ঘরোয়া ক্রিকেটেই আপাতত সমাধান খুঁজে নিচ্ছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান, ‘আমরা ক্রিকেট ফিরিয়ে নিয়ে আসব। বাইরের কারও সঙ্গে হবে কি না জানি না, আমরা ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করে দেব এখনই। কী করব সেটা আপনাদের বলছি না, কিন্তু কিছু তো একটা করবই। ক্রিকেট আমরা মাঠে ফেরাবই।’

কোন ধরনের টুর্নামেন্ট দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট ফেরানো হবে, সেটি অবশ্য পরিষ্কার করেননি নাজমুল। তবে দেশের বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ফেরানো কঠিনই।

সেটি বোঝা গেল নাজমুলের কথায়, ‘সবগুলো ক্লাবকে সামলাতে পারব না। যেটুকু সামলাতে পারব, সেটুকু নিয়েই করব। এটা ৪০ খেলোয়াড় হতে পারে, ১৬০ খেলোয়াড় হতে পারে। করোনাকালীন সময়ে সবার স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা আমাদের দিতেই হবে। আমরা যতটুকু নিয়ন্ত্রণ করতে পারব, সেভাবে খেলা চালাব।’

বিসিবি সভাপতি যে পরিকল্পনার আভাস দিয়েছেন, তাতে মনে হচ্ছে জাতীয় লিগ (এনসিএল) কিংবা বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) দিয়ে ফিরতে পারে ঘরোয়া ক্রিকেট।
যে লিগই হোক, খেলা শুরু হলেই যেন ক্রিকেটাররা খুশি।