সবকিছু সৃষ্টিকর্তার ওপর ছেড়ে দিলেন তিনি

কলকাতা অধিনায়ক এউইন মরগান।ছবি: আইপিএল

ক্রিকেট খেলা এমনই। কখনো কখনো নিজেদের হাতে আর কিছু থাকে না। সবকিছু ছেড়ে দিতে হয় ভাগ্যের ওপর আর বাঁচতে হয় শুধু আশা নিয়ে। সমীকরণ ঠিকঠাকমতো মিলে যাওয়ার প্রার্থনা করতে হয়। কলকাতা নাইট রাইডার্স অধিনায়ক এউইন মরগান ঠিক এমন পরিস্থিতির মধ্যেই পড়েছেন। শুধু মরগান কেন, নাইট রাইডার্সের সবাই—সমর্থকেরাও। তাদের প্লে অফে ওঠা না–ওঠা এখন ভাগ্যের হাতে।

আইপিএলে কাল রাজস্থান রয়্যালসকে ৬০ রানে হারিয়েছে কলকাতা। ১৪ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে থেকে গ্রুপপর্বের অভিযান শেষ করল তারা। প্লে অফে উঠতে এখন কলকাতাকে তাকিয়ে থাকতে হবে দুটি ম্যাচের ফলাফলে—রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ানস বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। কলকাতা অধিনায়ক মরগান তাই মনে করেন, নিজেদের সামর্থ্যের মধ্যে তাঁর দল যা যা করতে পারত, তার সবই করেছে, বাকিটা ভাগ্যের ওপর।

মুম্বাই (১.২৯৬) আগেই জায়গা নিশ্চিত করেছে প্লে অফে। ১৩ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ১৮ পয়েন্ট। পরের তিনটি দল যথাক্রমে বেঙ্গালুরু (-০.১৪৫), দিল্লি (-০.১৫৯) ও কলকাতার (-০.২১৪) পয়েন্ট সমান ১৪। এর মধ্যে কলকাতা সব কটি (১৪) ম্যাচ খেলে ফেলেছে। কাল মুম্বাইয়ের কাছে টেবিলের পাঁচে থাকা সানরাইজার্স হায়দরাবাদ হারলে প্লে অফের টিকিট পেয়ে যাবে কলকাতা। সানরাইজার্স অবশ্য জয় পেলে পাল্টে যাবে সমীকরণ।

রাজস্থানের বিপক্ষে ব্যাট হাতে দারুণ ইনিংস খেলেন মরগান।
ছবি: টুইটার

তখন দিল্লি-বেঙ্গালুরু ম্যাচে কোনো এক দলকে অনেক বড় ব্যবধানে হারতে হবে। তখন রান রেটের হিসেবে কলকাতার প্লে অফে ওঠার একটা সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।
রাজস্থানকে হারানোর পর কাল মরগান তাই সবকিছু ছেড়ে দিলেন সৃষ্টিকর্তার হাতে, ‘হ্যাঁ, রান রেটের বিষয়টি জানি। কিন্তু সবার আগে জয় তুলে নিতে হতো। আমার মনে হয় আজ (কাল) আমরা এর চেয়ে বেশি কিছু করতে পারতাম না। তাই এখান থেকে যা কিছুই ঘটবে, তার সবই সৃষ্টিকর্তার হাতে।’

মরগানের ৩৫ বলে ৬৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেটে ১৯১ রান তুলেছিল কলকাতা। এদিকে দলের হারে ৪ উইকেট নেওয়া কলকাতার অস্ট্রেলিয়ান পেসার প্যাট কামিন্সের প্রশংসা করেন স্টিভ স্মিথ। অস্ট্রেলিয়া দলের সতীর্থকে নিয়ে রাজস্থান অধিনায়ক বলেন, ‘সে খুব ভালো লেংথে বল করেছে। আমাদের শট খেলতে বাধ্য করেছে। আমরা মাঝে পথ হারিয়েছি। শেষটাও ভালো হয়নি। টপ অর্ডারে প্রথম চার-পাঁচ ব্যাটসম্যান দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারেনি।’