সমর্থকেরা অবসরে পাঠালেও ধোনি থাকছেন
২০০৮ সালে আইপিএল শুরুর পর এবারই সম্ভবত প্রথম চেন্নাই সুপার কিংস প্লে অফে খেলতে পারবে না। দলের এই ভরাডুবিতে চেন্নাই সমর্থকেরা ধারণা করছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মতো আইপিএল-অধ্যায়েরও বুঝি ইতি টানবেন ধোনি!
মরুর দেশে এবারের আইপিএলে চেন্নাই ১১ ম্যাচে জিতেছে মাত্র ৩টিতে। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ ধোনি। ১১ ম্যাচে ২৫.৭১ গড়ে করেছেন মাত্র ১৮০ রান। সর্বোচ্চ ইনিংস অপরাজিত ৪৭।
স্বাভাবিকভাবেই গুঞ্জন উঠেছে, ধোনি শিগগির বিদায় জানাবেন আইপিএলকে। এই গুঞ্জন আরও জোরালো হয়েছে ধোনির চেন্নাইয়ের জার্সি প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের নিতে দেখে।
১৯ অক্টোবর সোমবার রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে যেমন জস বাটলার ধোনির স্বাক্ষরিত জার্সি নিয়ে ছবি তুলেছেন। কাল মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের দুই ভাই হার্দিক আর ক্রুনাল পান্ডিয়াও বিখ্যাত ‘৭ নম্বর’ জার্সিটি সংগ্রহে রেখেছেন। এসব দেখে দুই দুইয়ে চার মিলিয়ে অনেকের ধারণা—এটাই বোধ হয় ধোনির শেষ আইপিএল!
যে যাই ভাবুক, ধোনির চিন্তা অবশ্য ভিন্ন। তিনি কল্পনায় ছবি আঁকছেন আগামী আইপিএলের। পরের আইপিএল শুরু হতে ছয় মাসও নেই। মুম্বাইয়ের কাছে হারের পর ধোনির কথায় বারবার আইপিএলের কথাই এসেছে। মহামারি শেষ না হলে পরের আইপিএলটা কোথায় হয়, সেটি দেখে আগামী নিলামে দলের খেলোয়াড় পরিবর্তনের আভাসও আছে তাঁর কথায়।
কাল মুম্বাইয়ের কাছে বড় ব্যবধানে হারের পর ধোনি জানিয়েছেন, যেহেতু তাঁদের আর শেষ চারে যাওয়ার সুযোগ নেই, টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলোতে তরুণ ক্রিকেটারদের সুযোগ দিতে চান। ২০২১ আইপিএলের পরিকল্পনা সাজাতেও সেটি তাঁকে সাহায্য করবে।
দুবাইয়ে আগামীকাল চেন্নাই খেলবে দারুণ ছন্দে থাকা বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে, আইপিএলে যেটি ‘সাউদার্ন ডার্বি’ নামে পরিচিত। জয়-পরাজয় ছাপিয়ে চেন্নাইয়ের প্রতিটি ম্যাচ যেন এখন পরের আইপিএলেরই প্রস্তুতি ম্যাচ!