‘সরফরাজের নেতৃত্ব কোহলির মতো’

মাঠে মুখোমুখি পাকিস্তানের সরফরাজ আহমেদ ও ভারতের বিরাট কোহলি।
ফাইল ছবি

সরফরাজ আহমেদ পাকিস্তান অধিনায়ক থাকার সময়ে তাঁকে ঘিরে সমালোচনা কম হয়নি। মুটিয়ে যাওয়া, ফিটনেস সমস্যার সঙ্গে বিরিয়ানিপ্রীতি নিয়েও কথা শুনতে হয়েছে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ককে। মাঠে তাঁর নেতৃত্বেও খুঁত খুঁজে পেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেকরা। রক্ষণাত্মক অধিনায়কত্বের জন্য কথাও শুনেছেন। অন্যদিকে ভারতের বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলি মাঠে আগ্রাসী দলনেতা, আর ফিটনেসেও বিশ্বসেরাদের একজন। এ দুজনের মধ্যে অধিনায়কত্ব নিয়ে তুলনা হতেই পারে, কিন্তু দুজনের অধিনায়কত্বের ধরন কি একই রকম?

দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি মনে করেন, সরফরাজ ও কোহলির নেত্বত্বের ধরন একই রকম। মাঠে কোহলির অধিনায়কত্বের সঙ্গে সরফরাজের অধিনায়কত্বের মিল খুঁজে পান ডু প্লেসি। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন কথাই বলেছেন তিনি। দলনেতা হিসেবে সরফরাজকে মহেন্দ্র সিং ধোনির ঠিক বিপরীত বলে মনে করেন ডু প্লেসি।

চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের আগে টুর্নামেন্টের ট্রফি হাতে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ও ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
ফাইল ছবি

আরব আমিরাতে ৯ জুন থেকে শুরু হবে স্থগিত হওয়া পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) বাকি অংশ। কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্সে খেলছেন ডু প্লেসি, যে দলের অধিনায়ক আবার সরফরাজ। দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম সেরা অধিনায়ক ডু প্লেসির সরফরাজের অধিনায়কত্ব নিয়ে বলেন, ‘তারা (সরফরাজ ও ধোনি) বেশ আলাদা। ধোনি শান্ত ও চুপচাপ। মাঠে সে সহজাত মানসিকতা থেকে সবকিছু করে থাকে। কিন্তু সরফরাজ আলাদা এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে সব সময় কথা বলা আর বোলারদের সঙ্গে কথা বলার বিচারে তার (নেতৃত্বের) ধরন প্রায় বিরাট কোহলির মতো। অধিনায়কত্ব করতে ভালোবাসে সে এবং সেটা (মাঠে) তা দেখিয়েও থাকে।’

পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ।
ফাইল ছবি

দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৬ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে ১৮টি জয় এনে দিয়েছেন ডু প্লেসি। ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি মিলিয়ে ৭৬ ম্যাচে তাঁর নেতৃত্বে প্রোটিয়াদের জয় ৫১টি। পিএসএলে খেলার মান নিয়েও সন্তুষ্ট ডু প্লেসি। বিশেষ করে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে পেসারদের অনেক উঁচুতেই রাখছেন তিনি। এ ক্ষেত্রে ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে একটি পার্থক্য তুলে ধরেন ৩৬ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। তাঁর মতে, ভারতে পেসারদের তুলনায় স্পিনারদের বৈচিত্র্য অনেক বেশি, ‘পিএসএলের মান খুব ভালো। এ টুর্নামেন্টে আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছে ফাস্ট বোলাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসেছি, যেখানে পেসারদের মোকাবিলা করে বেড়ে উঠতে হয়েছে। সবচেয়ে অবাক হয়েছি এখানে ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করা বোলারদের সংখ্যা দেখে। আমার মতে, পিএসএলের সেরা দিক এই গতির বিষয়টিই।’

উইকেটের সামনে কোহলি, পেছনে সরফরাজ।
ফাইল ছবি

আইপিএল স্থগিত হওয়া নিয়েও নিজের হতাশা জানিয়েছেন ডু প্লেসি। যদিও সেপ্টেম্বর–অক্টোবরে আইপিএলের বাকি অংশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পাকা করে ফেলেছে বিসিসিআই। ডু প্লেসি বলেন, ‘টুর্নামেন্টটি ভালোভাবেই এগোচ্ছিল। জৈব সুরক্ষাবলয়ের মধ্যে আমরা নিরাপদেই ছিলাম। আমার মনে হয়, ভ্রমণের কারণে করোনা হানা দেওয়ার সুযোগটা সৃষ্টি হয়। তবে এটা দুঃখজনক যে আরেকটি টুর্নামেন্ট করোনার কারণে স্থগিত করতে হয়েছে। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ভালোই খেলছিলাম। তবে পিএসএলের মতো আইপিএলও সেপ্টেম্বরে আবার শুরু হবে।’