সাকিব প্রসঙ্গে রাজ্জাকের প্রশ্ন, ‘আপনি যদি নির্বাচক হতেন, কী করতেন?’
নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরার পর সাকিব আল হাসান টেস্ট খেলেছেন মাত্র তিনটি। অথচ, ২০২০ সালের অক্টোবরের পর দেশ–বিদেশ মিলিয়ে বাংলাদেশ টেস্ট খেলেছে নয়টি। গত জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডে যাননি, এবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন তিনি। অথচ, সাকিবকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) তিন সংস্করণের চুক্তিতেই রাখা হয়েছে।
এটি নিয়ে নির্বাচকেরা পড়ছেন প্রশ্নের মুখে। আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন ও আবদুর রাজ্জাক এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে সাকিবকে তিন সংস্করণে রাখার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন আরেক নির্বাচক আবদুর রাজ্জাক।
সাকিবের দক্ষতা নিয়ে নির্বাচকদের কোনো প্রশ্ন নেই। দক্ষতায় সাকিবের ধারেকাছে থাকেন, এমন ক্রিকেটার নেই বললেই চলে। যেকোনো দলই এমন একজন ক্রিকেটার খোঁজে, যিনি টপ অর্ডারে ব্যাটিং করেন, তিনিই আবার দলের মূল বোলারদের একজন। এমন একজন ক্রিকেটার তো বাংলাদেশে নেই।
সাকিবের সেই ক্রিকেটীয় দক্ষতার প্রসঙ্গেই নির্বাচক রাজ্জাক বলছিলেন, ‘বোর্ড প্রথমে কথা বলেছে, কে কোন সংস্করণে খেলতে চান। তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাকিব কিন্তু এখনো কোনো সংস্করণ থেকে সরে যাননি। সাকিব সেই মাপের খেলোয়াড়, যে নিজে থেকে কোনো সংস্করণ থেকে সরে না গেলে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া কঠিন। এখনো সাকিবের সঙ্গে আমাদের সে রকম কোনো কথা হয়নি। যেহেতু হয়নি, হুট করে একটা কথা বলে দেওয়া ঠিক নয়। কথা হলে জানতে পারবেন। আপনি যদি নির্বাচক হতেন, কী করতেন? সাকিবকে বাদ দিতেন, না রাখতেন?’
সাকিবকে তিন সংস্করণের চুক্তিতে রাখার ব্যাপারে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুলের ব্যাখ্যাও একই। ছুটি কাটিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর ২০২২ সালের বাকি সময়টা সাকিব বাংলাদেশের হয়ে সব সংস্করণে খেলবেন—মিনহাজুলের এমনই আশা। আজ তিনি বলছিলেন, ‘৩০ এপ্রিলের পর থেকে সাকিব থাকবে। আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, সে অনুযায়ী তিন সংস্করণে তাঁকে পাওয়া যাবে। সাকিব অনেক বড় মাপের খেলোয়াড়। বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন। তাঁর কাছে সব সময় সেরাটাই আমরা চাই। সে জন্য ওকে তিন সংস্করণে রাখা হয়েছে। যেহেতু এ বছর আমাদের অনেক খেলা। আগামী এক বছর সাকিবের কাছ থেকে আরও ভালো পারফরম্যান্স চাচ্ছি। আশা করছি তরতাজা হয়ে ফিরে এসে তিন সংস্করণেই খেলবেন।’
সাকিবকে রেখে দল ঘোষণার পর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে না যাওয়ায় নির্বাচকদের পরিকল্পনায় ব্যাঘাত ঘটেছে। তবু মিনহাজুলের আশা, বাংলাদেশ দল প্রোটিয়াদের মাটিতে ভালো করবে, ‘একটা পরিকল্পনা সব সময়ই থাকে, সেই পরিকল্পনায় একটা সিরিজের দল দেওয়া হয়। সেদিক থেকে সাকিবের না যাওয়াটা অবশ্যই বিপর্যয়ের মতো। না গেলে জোর করে তো খেলানো যাবে না। সামনে যা আছে, তা দিয়েই সেরাটা দিতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাঁরা গেছেন, তাঁদেরও সামর্থ্য আছে ভালো ক্রিকেট খেলার। আশা করি ভালো একটা সিরিজ হবে।’