সাকিব-মোস্তাফিজ লড়াই হবে তো?

সাকিব-মোস্তাফিজ, আজ দেখা হবে তো?ছবি : বিসিসিআই

কলকাতা নাইট রাইডার্সের সর্বশেষ ম্যাচের একাদশে ছিলেন না সাকিব আল হাসান। চেন্নাইয়ের স্পিন সহায়ক উইকেটে তিন ম্যাচ খেলে ব্যাটসম্যান সাকিবের কাছ থেকে বেশি কিছু পায়নি কলকাতা। বোলিংয়ে ভালো করলেও ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স ছিল না। মুম্বাইয়ের ব্যাটিং স্বর্গে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে তাই সাকিবকে ছাড়াই খেলেছে কলকাতা। তাঁর জায়গায় খেলেছেন সুনীল নারাইন। আজ একই মাঠে কলকাতা খেলতে নামছে মোস্তাফিজুর রহমানের দল রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে।

মুম্বাইয়ের মাঠেই এবারের আইপিএলে নিজেদের প্রথম চার ম্যাচ খেলেছে রাজস্থান। প্রতি ম্যাচেই মোস্তাফিজ ছিলেন দলের বোলিং পরিকল্পনার অন্যতম অংশ। আজও কলকাতার বিপক্ষে একাদশে মোস্তাফিজের থাকার সম্ভাবনাই বেশি। তবে সাকিব না থাকলে বাংলাদেশি দর্শকেরা দুই বাংলাদেশির মুখোমুখি লড়াই থেকে বঞ্চিত হবেন।

কলকাতা নাইট রাইডার্সের সর্বশেষ ম্যাচের একাদশে ছিলেন না সাকিব আল হাসান
ছবি : আইপিএল ওয়েবসাইট

এবারের আইপিএলে সাকিব তিন ম্যাচ খেলে রান করেছেন ৩৮। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৬ রান এসেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে। ৩ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ২টি। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে ২৩ রানে ১ উইকেট এবারের আইপিএলে সাকিবের সেরা বোলিং। সাকিবের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স যেখানে এই, তাঁর দল কলকাতাও খুব একটা উজ্জ্বল নয়। চার ম্যাচ খেলে তিনটিতে হেরেছে দুবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা।

হারের বৃত্তে আছে রাজস্থানও। চার ম্যাচ খেলে এক জয়ে দুই পয়েন্ট মোস্তাফিজদের। তবে বাংলাদেশি বাঁহাতি পেসার বল হাতে ধারাবাহিক ছিলেন। ৪ ম্যাচে তাঁর উইকেট মাত্র ২টি, তবে প্রতি ম্যাচেই মোস্তাফিজ দেখিয়েছেন তাঁর সামর্থ্য। যা পরিসংখ্যানে দৃশ্যমান নয়।

রাজস্থান একাদশে মোস্তাফিজের জায়গা প্রায় পাকাই বলা যায়।
ছবি : আইপিএল ওয়েবসাইট

মোস্তাফিজের খেলা নিয়ে শঙ্কা কিছুটা কমিয়ে দিচ্ছে সতীর্থ জফরা আর্চারের চোট। রাজস্থান দলে খুব বেশি বিদেশিও নেই যে মোস্তাফিজের ওপর চাপ সৃষ্টি করবেন। যাঁরা আছেন, এর মধ্যে জফরা চোটে পড়েছেন আইপিএলের আগে, প্রথমে আইপিএলের শুরুর কয়েক ম্যাচে খেলতে পারবে না জানা গিয়েছিল। আর্চার ফিরলে হয়তো মোস্তাফিজকে জায়গা ছাড়তে হতো। কিন্তু কাল নিশ্চিত হওয়া গেল, ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলার পুরো আইপিএলের সময়টাতেই মাঠের বাইরে থাকছেন চোটের কারণে। তাই রাজস্থান একাদশে মোস্তাফিজের জায়গা প্রায় পাকাই বলা যায়।

জফরার বাইরে রাজস্থান চাইলে অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার অ্যান্ড্রু টাইকে দলে নিতে পারত মোস্তাফিজের জায়গায়। তবে এমন কিছু দেখতে চান না সাবেক জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার পমি এমবাংওয়া। কাল ক্রিকবাজের ক্রিকেট বিশ্লেষণে তিনি বলেছেন, ‘টাই এর ভালো স্লো বল আছে। গতি আছে। কিন্তু সেটা মোস্তাফিজেরও আছে। আর সে এর মধ্যেই একই মাঠে চার ম্যাচ খেলে ফেলেছে। ভালোও করেছে। আর মোস্তাফিজ বাঁহাতি। সে কারণে দলে বদল আনার প্রয়োজন দেখি না। আরও দুই ম্যাচ সুযোগ দেওয়ার পর যদি মোস্তাফিজ খারাপ করে তাহলে হয়তো বদলের কথা ভাবা যেতে পারে। কিন্তু এখন না।’

সাকিবের গল্পটা ভিন্ন। একাদশে জায়গা পেতে তাঁকে লড়তে হবে সুনীল নারিনের সঙ্গে। পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে আছেন বেন কাটিং। অলরাউন্ডার কমিয়ে যদি ফাস্ট বোলিংয়ের শক্তি বাড়াতে চায়, তাহলে কলকাতায় আছেন লকি ফার্গুসন। সব মিলিয়ে একাদশে জায়গা পেতে সাকিবের প্রতিযোগিতাটা মোস্তাফিজের তুলনায় বেশিই বলা যায়।