সাকিবকে প্রশংসায় ভাসালেন কলকাতা অধিনায়ক
সেই যে ১৮ এপ্রিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে খেলেছিলেন, এরপর কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) জার্সিতে এবারের আইপিএলে আর দেখা যায়নি সাকিব আল হাসানকে।
মৌসুমের প্রথম তিন ম্যাচে খেললেও ব্যাটে-বলে আলো ছড়াতে পারেননি বাংলাদেশের বাঁহাতি অলরাউন্ডার। এরপর আইপিএলের ভারত অংশে হোক আর সংযুক্ত আরব আমিরাত অংশে, সাকিব একাদশেই সুযোগ পাচ্ছিলেন না।
টানা নয় ম্যাচ একাদশের বাইরে থাকার পর অবশেষে গতকাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে কলকাতার একাদশে ফিরেছেন সাকিব। ফিরে বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন।
যদিও কলকাতার ৬ উইকেটের জয়ে ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ পাননি সাকিব, তবে বল হাতেই যা করেছেন, ম্যাচ শেষে সেটির প্রশংসা করেছেন কলকাতা অধিনায়ক এউইন মরগান। সাকিবকে এভাবে ম্যাচের পর ম্যাচ বসিয়ে রাখা মরগানের চোখে ‘বিলাসিতা।’ গতকাল ম্যাচে সাকিবের অবদানকেও মরগান বললেন ‘অনেক বড় কিছু।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবারের আইপিএলের দ্বিতীয় অংশ শুরু হওয়ার পর থেকে গতকালের আগে কলকাতার কোনো ম্যাচে খেলা হয়নি সাকিবের। কিন্তু কাল ফিরেই ঝলক দেখিয়েছেন সাকিব। বল হাতে ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। কলকাতার পাঁচ বোলারের মধ্যে যে চারজন উইকেট পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে কিপ্টে বোলিং ছিল সাকিবের। যদিও বাকি তিনজনের সবাই দুটি করে উইকেট পেয়েছেন।
নিজের বলেই একটা ক্যাচ মিস না করলে সাকিবেরও উইকেট দুটি হতে পারত। তবে ফিল্ডিংয়ে সে ব্যর্থতার উল্টোদিকে সাকিবের চোখধাঁধানো ফিল্ডিংও কাল দেখেছে আমিরাতের স্টেডিয়াম। নিজের বোলিংয়ের সময়েই তাঁর দুর্দান্ত থ্রো-ই রানআউট করেছে হায়দরাবাদ অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনকে।
ম্যাচ শেষে তাই কলকাতার জয়ের পথে ব্যাট হাতে ৫৭ রান করে ম্যাচসেরা হওয়া শুবমান গিলের পাশাপাশি সাকিবের প্রশংসাই ঝরল কলকাতা অধিনায়ক মরগানের কণ্ঠে, ‘শুবমান দারুণ খেলেছে। আর সাকিব (যা করেছে, সেটা) অনেক বড় কিছু! আমাদের দলের শক্তি আর গভীরতা এমন যে, ওর মতো অভিজ্ঞ একজনকেও এভাবে এত দিন পর ডাকার মতো বিলাসিতা আমরা দেখাতে পারছি। আজ কী দারুণভাবে ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে ও!’
কলকাতা অধিনায়ক অবশ্য প্রশংসাবৃষ্টিতে ভাসিয়েছেন দলের অন্য দুই স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী ও সুনীল নারাইনকেও। লেগ স্পিনার বরুণ ৪ ওভারে ২৬ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন।
নারাইন উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১২ রান। মরগান তাই বলছিলেন, ‘আমার মনে হয় আমাদের হয়ে ম্যাচে সবচেয়ে বেশি পার্থক্য গড়ে দেওয়ার মতো দুজন ওরা। আমরা ভাগ্যবান যে ওরা আমাদের দলে খেলছে। বিশেষ করে সুনীল নারাইন। অনেক দিন ধরে এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটার একটা বড় অংশ হয়ে আছে ও। কেকেআরের সাফল্যের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ।’