সাকিব–তামিম–মুশফিকহীন ম্যাচেও ‘ভরসা’ হতে পারলেন না তাঁরা

হ্যামিল্টনে আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি–টোয়েন্টি ম্যাচে এমন একটা ব্যাপার ঘটল, যেটির সঙ্গে আসলে বহু বছর পরিচয় নেই গোটা দলের। আজ বাংলাদেশ খেলতে নামল সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল আর মুশফিকুর রহিমকে ছাড়া। ২০০৬ সালের পর এমন কিছু দেখেনি বাংলাদেশের ক্রিকেট।

নিউজিল্যান্ড সফরে এমনিতেই নেই সাকিব আল হাসান। তৃতীয় সন্তানের জন্ম উপলক্ষে বিসিবির কাছ থেকে ছুটি নিয়ে রেখেছেন অনেক আগেই। তিনি এখন ভারতে চলে গিয়েছেন আইপিএল খেলতে। নিউজিল্যান্ড সফরের মধ্যেই জানা গেল ওয়ানডে সিরিজ খেলেই ‘ব্যক্তিগত কারণে’ দেশে ফিরে যাবেন তামিম, তাই তিনিও আজ ছিলেন না। কাঁধের চোটের কারণে খেলতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। দেশের ক্রিকেটের পঞ্চপাণ্ডবের ‘তিন পাণ্ডব’ বর্জিত বাংলাদেশ দল অবশ্য আজ হ্যামিল্টনে নিজেদের উতরাতে পারেনি। হেরেছে ৬৬ রানের বড় ব্যবধানে।

অভিজ্ঞরা ছিলেন না। সৌম্য সরকার, লিটন দাস আর মোহাম্মদ মিঠুনই ছিলেন মাহমুদউল্লাহর বড় অস্ত্র। কিন্তু আজ এই অস্ত্রগুলো কোনো কাজে আসেনি। সৌম্য, লিটন নিউজিল্যান্ড সফরে ব্যর্থ বরাবরই। ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে প্রত্যাশা বাড়িয়ে দেওয়া মিঠুনও আজ সৌম্য, লিটনের পথেই হেঁটেছেন। মাহমুদউল্লাহ দলের অভিভাবকত্ব করছিলেন। কিন্তু সামনে থেকে নেতৃত্বে দিতে পারেননি। তাঁর ব্যাটিং কিছুই দেয়নি দলকে। অথচ ওয়েলিংটনের তৃতীয় ওয়ানডেতে ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে হাত খুলে খেলেছিলেন মাহমুদউল্লাহ।

মোহাম্মদ নাঈম কিছুটা লড়েছেন। তবে আফিফ হোসেনের ব্যাটে ছিল প্রত্যয়ের ছোঁয়া। তাঁর ৩৩ বলে ৪৫ রানের ইনিংসটি অবশ্য দীর্ঘশ্বাসই বাড়িয়েছে কেবল। তিনি যখন দারুণ আধিপত্যের সঙ্গে লড়ছেন, ততক্ষণে যে ম্যাচটাই বেরিয়ে গেছে হাত থেকে।

সাকিব–তামিম–মুশফিকহীন ম্যাচেও সৌম্য–লিটন–মিঠুনরা আশার আলো দেখাতে পারলেন না—ভাবনার বিষয় এটিই। অভিজ্ঞতা তো আর তাঁদের কম নয়। ১৫ বছর পর দেশের ক্রিকেটের সেরা তিন তারকার অনুপস্থিতির ম্যাচ যেন ভবিষ্যতের শঙ্কার চিত্রটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে গেল।