সাকিবের নতুন শুরু
বিসিবি একাডেমি মাঠে কাল তামিম ইকবাল-মাহমুদউল্লাহর কাছে যখন তাঁর প্রত্যাবর্তন নিয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছে, বেশ কাছেই দাঁড়িয়ে ছিলেন সাকিব আল হাসান। মাহমুদউল্লাহ-তামিমের কথায় নয়, তিনি তখন মনোযোগী অনুশীলন নিয়ে। তবে এক বছর পর খেলায় ফেরার উপলক্ষটাতে জাতীয় দল সতীর্থরা যেভাবে তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছেন, বাঁহাতি অলরাউন্ডারকে সেটি অনুপ্রাণিত করবেই।
আইসিসির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সাকিব মাঠে ফিরেছেন সপ্তাহ দুই আগে। এরপর আজ ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে জেমকন খুলনার হয়ে ১৩ মাস পর ফিরছেন প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে। সাকিব সর্বশেষ প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলেছেন গত বছরের ১২ অক্টোবর, ক্যারিবীয় প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) ফাইনালে। যেটিতে শিরোপা জিতেছিল তাঁর দল বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা সাকিবকে উষ্ণ অভ্যর্থনাই জানাচ্ছেন তাঁর জাতীয় দলের সতীর্থরা-
তামিম ইকবাল
ওর জন্য এটা অনেক বড় দিন, এক বছর পর সে ফিরছে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্যও একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন। নিশ্চিত সাকিবের ভক্তরা তার খেলা দেখতে অপেক্ষায় আছে।
মুশফিকুর রহিম
অবশ্যই বড় একটা বিষয়। শুধু আমি নই, আমার মনে হয় পুরো বিশ্ব ক্রিকেটই অপেক্ষা করছে। সে নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার এবং আমাদের সেরা খেলোয়াড়।
মাহমুদউল্লাহ
আমরা সবাই জানি সাকিবের গুরুত্ব কতটুকু। আমরা সবাই খুশি যে সে ফিরছে এবং আমাদের দলেই খেলছে। তাকে পাওয়াটা আমাদের জন্য খুবই ভালো ব্যাপার।
অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন ঠিকই, তবে মাহমুদউল্লাহ বাদে বাকিরা সবাই পেশাদারি দৃষ্টিতে সাকিবের একটু ‘অমঙ্গল’ও কি চাইছেন না! বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়ক মুশফিক হেসে বললেন, ‘আশা করছি আমাদের সঙ্গে ছাড়া অন্য সবার বিপক্ষে সে ভালো খেলবে।’ ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিমের কথা, ‘যেহেতু এটা একটা প্রতিযোগিতামূলক খেলা, চেষ্টা করব ও যেন (বরিশালের বিপক্ষে) কম প্রভাব ফেলতে পারে।’
মুশফিক-তামিম যা চাচ্ছেন না, স্বাভাবিকভাবে সেটিই চাচ্ছেন জেমকন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টিতে সাকিবই যে তাঁর দলের বড় অস্ত্র! মাহমুদউল্লাহ বলছিলেন, ‘সাকিবের যা সামর্থ্য, আমার মনে হয় না যে ওর পারফরম্যান্স নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকবে। আমার বিশ্বাস, সে প্রথম ম্যাচেই নিজেকে মেলে ধরতে পারবে। সাকিবও উন্মুখ হয়ে আছে ভালো খেলতে।’
অবশ্য পেশাদারত্বের বর্ম ছেড়ে মুশফিক যেটা বলেছেন, সাকিবের নতুন শুরুর উপলক্ষে সেটাই হতে পারে শেষ কথা। সাকিবের ফেরাটাকে টুর্নামেন্টের জন্যই অনেক বড় পাওয়া মনে করেন তিনি, ‘সাকিবের সঙ্গে এবং বিপক্ষে যে তরুণেরা খেলবে, তারা অনেক কিছু শিখতে পারবে। যেহেতু এবার কোনো বিদেশি খেলোয়াড় নেই, অনেক কিছু শেখার এটাই ভালো সুযোগ স্থানীয় খেলোয়াড়দের জন্য।’